ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

রাজশাহীতে গণসমাবেশের জন্য পুলিশের দিকে তাকিয়ে বিএনপি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২২
রাজশাহীতে গণসমাবেশের জন্য পুলিশের দিকে তাকিয়ে বিএনপি

রাজশাহী: রাজশাহীতে আগামী ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় বিএনপির গণসমাবেশের জন্য হাজী মুহম্মদ মহসীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠ (ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠ) ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দলটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন থেকে মাঠ ব্যবহারের অনুমতি মিলেছে।

 

তবে বিএনপির গণসমাবেশ আয়োজনের জন্য এখনো পুলিশের অনুমতি মেলেনি। দলটির নেতারা এখন অনুমতির জন্য পুলিশের দিকে তাকিয়ে আছেন। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে গণসমাবেশস্থলের পাশে নেতাকর্মীদের থাকার জন্য দুটি প্যান্ডেল করা হলেও পুলিশ তা ভেঙে দিয়েছে। তবে পুলিশ ও বিএনপি বিষয়টি স্বীকার করছে না।  
 
রাজশাহী মহানগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে বিএনপি মাঠ ব্যবহারের অনুমতি পেলেও সমাবেশের জন্য পুলিশের অনুমতি পায়নি। এরইমধ্যে তারা আগাম পাঁচ-ছয় হাজার নেতাকর্মীর থাকার জন্য প্যান্ডেল তৈরি করছিল। অথচ সমাবেশের জন্য তার একদিনেরই অনুমতি পেয়েছে। তার আগেই প্যান্ডেল করার কাজ শুরু করায় বাধা দেওয়া হয়েছে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) বিশেষ শাখার (এসবি) উপ-কমিশনার আবদুর রকিব বলেন, বিএনপি যে স্কুলের মাঠে (হাজী মুহম্মদ মহসীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠ) তাদের গণসমাবেশ করবে বলছে, সেই স্কুলে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলমান। বুধবার (৩০ নভেম্বর) পরীক্ষা হবে। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) সকালেও পরীক্ষা আছে। তাই এখনো ওই মাঠে গণসমাবেশের জন্য বিএনপিকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। কাল-পরশুর মধ্যেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মাঠ ব্যবহারের যখন অনুমতি মিলেছে, তখন গণসমাবেশের জন্যও অনুমতি মিলবে বলে মনে করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং এই গণসমাবেশের সমন্বয়ক মিজানুর রহমান মিনু। তিনি বলেন, গণসমাবেশ হবে। আর মাইক ব্যবহারেরও অনুমতি মিলবে। আজ পুলিশ কেবল বাধা দিয়েছে।  

তবে পুলিশ প্যান্ডেল ভাঙেনি বলেও দাবি করেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) আব্দুল জলিল জানান, রাজশাহীর হাজী মুহম্মদ মহসীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে এখনো বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। তিনি নিজেই ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি। সবকিছুই জানেন। তাই পরীক্ষা চলায় তিনি ওই মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দেননি। ১ ডিসেম্বর পরীক্ষা শেষ হলে এরপর মাঠটি ব্যবহার করা যাবে। তবে বিএনপি কেবল আগামী ৩ ডিসেম্বরই মাঠ ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে। তাই অন্যদিন তারা ওই মাঠ পাবে না।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২২

এসএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।