ঢাকা: খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে বিতরণ সংস্থার আবেদন নিয়ে গণশুনানিও করেছিল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। কিন্তু গত ১২ জানুয়ারি নির্বাহী আদেশে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে সরকার।
গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন সংশোধন করে এক অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। ওই অধ্যাদেশে বিশেষ পরিস্থিতিতে তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ক্ষমতা নেয় সরকার। এর কয়েক দিনের মধ্যেই বিইআরসিকে পাশ কাটিয়ে ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করে বিদ্যুৎ বিভাগ।
ডিসেম্বর থেকে পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে বিইআরসি। পাইকারির পর খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়াতে গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ কোম্পানিগলোর আবেদনের প্রেক্ষিতে গণশুনানিও করেছিল কমিশন। দাম বাড়ানোর কাজটি কমিশনের করার কথা থাকলেও নির্বাহী আদেশে ভোক্তা পর্যায়ে প্রথমবারে মতো বিদ্যুতের দাম বাড়ায় সরকার।
এ ব্যাপারে বিইআরসির এক সদস্য বাংলানিউজকে জানান, গত ৮ ও ৯ জানুয়ারি গণশুনারি আয়োজন করে বিইআরসি। এ মাসেই কমিশন বিদ্যুতের মুল্য সমন্বয়ের কাজ করার কথা থাকলেও সরকারে পক্ষ থেকে মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা আসায় সেই কাজটি আর কমিশন করছে না। বিষয়টি এখন মুলতবি রাখা হয়েছে। বিইআরসি আইন সংশোধনের অধ্যাদেশ জাতীয় সংসদে অনুমোদনের পর প্রজ্ঞাপন জারি হলে কমিশনের নিষ্পত্তি আদেশ ঘোষণা করা হবে।
গত নভেম্বরে বিদ্যুতের মূল্য পাইকারি পর্যায়ে ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ায় বিইআরসি। এর পর খুচরা দাম বাড়াতে বিইআরসির কাছে আবেদন করে ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা। ৮ জানুয়ারি এসব আবেদন নিয়ে শুনানি করে বিইআরসি। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে শুনানি–পরবর্তী মতামত জানাতে বলা হয়। এরপর নতুন মূল্য সমন্বয়ের কথা বিইআরসির।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৩
এসআর/এমজেএফ