ঢাকা: সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ভারতের জাতীয় গ্রিড ব্যবহার করে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
বুধবার (৬ নভেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে আমদানির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে বছরে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি টাকা। এ বিদ্যুৎ আসতে ভেড়ামারার এইচভিডিসি সাব স্টেশন ব্যবহার করা হবে। ভেড়ামারার এইচভিডিসি সাব স্টেশনের এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করার সক্ষমতা রয়েছে। তবে বর্তমানে এ সাব স্টেশনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৯৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে।
সাব স্টেশনটির অব্যবহৃত ক্ষমতা ব্যবহার করে নেপাল থেকে ভারতের সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি করা সম্ভব। নেপালের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনায় এ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ আমদানিতে তা সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ভারত থেকে তিনটি সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে দুই হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে।
জানা গেছে, বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে গত মে মাসে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, নেপালের ত্রিশুলি প্রকল্প থেকে ২৪ মেগাওয়াট এবং অন্য একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৬ মেগাওয়াটসহ মোট ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসার কথা। বাংলাদেশের ভেড়ামারায় জাতীয় গ্রিডে এই বিদ্যুৎ আসবে ভারতের বহরমপুর সঞ্চালন লাইন দিয়ে। এ বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তির মেয়াদ পাঁচ বছর হলেও নেপালের পক্ষ থেকে ২৫ বছর মেয়াদি চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২৩
জিসিজি/আরএইচ