ঢাকা, বুধবার, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩১, ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০৮ সফর ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

হাঙ্গেরীর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কোর ক্যাচার পাঠাল রাশিয়া

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২৪
হাঙ্গেরীর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কোর ক্যাচার পাঠাল রাশিয়া

ঢাকা: সম্প্রতি হাঙ্গেরীতে নির্মানাধীন পাকস-২ এনপিপির একটি ইউনিটের জন্য কোর ক্যাচার সরবরাহ করেছে রুশ রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি সংস্থা রসাটম।  

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই কোর ক্যাচার।

পাকস-২ একটি আন্তর্জাতিক প্রকল্প, যা বাস্তবায়নে রুশ ও হাঙ্গেরীয়সহ অন্যান্য দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোও কাজ করছে।

শনিবার (৩ আগস্ট) রসাটমের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রাশিয়ার ভলগাদন্সক থেকে নৌপথে ৪৮ দিনে পরিবহন জাহাজটি কোর ক্যাচারের বিভিন্ন অংশ নিয়ে ৩ হাজার ২শ কিলোমিটার অতিক্রম করে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) পাকস-২ এনপিপি সাইটে পৌছে।

এএসই ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং পাকস এনপিপি নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক ভিতালি পোলিয়ানিন বলেন, এটা প্রতীকী যে পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিটের স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ আগেভাগেই পাকস-২ এনপিপি সাইটে এসে পৌঁছেছে। সঙ্গতভাবেই বলা যেতে পারে যে, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হওয়ার আগেই এটির নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতা বিষয়গুলো প্রাধান্য পেয়েছে। আমরা সর্বতভাবেই চেষ্টা করছি যাতে ২০২৪ এর শেষ বা ২০২৫ এর শুরুতেই বিদ্যুৎ ইউনিটির নির্মাণ কাজ শুরু করা যায় এবং কোর ক্যাচার স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়।

পাকস এনপিপির পঞ্চম ইউনিটের প্রস্তুতি পর্বের কাজ নির্ধারিত সময় অনুযায়ী এগিয়ে চলছে এবং ফাউন্ডেশন স্ল্যাবসহ অন্যান্য বৃহৎ নির্মাণ কাজ শুরুর জন্য প্রয়োজনীয় কাজের অনেকখানিই ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

পাকস-২ প্রকল্পের প্রেসিডেন্ট ও মহাপরিচালক সের্গেই জ্যাকলি তার মন্তব্যে বলেন, জেনারেল কন্ট্রাকটরের সঙ্গে আমাদের যৌথ লক্ষ্য হলো সম্ভাব্য সবচেয়ে কম সময়ে প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন করা। গত বছর আমরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে সমর্থ হয়েছি এবং বর্তমানে কাজের গতি আরও বেড়েছে। এসময় প্রকল্পে ৯শ বিশেষজ্ঞ কাজ করছেন।

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের রিয়্যাক্টরের একদম নিচেই স্থাপিত হয় কোর ক্যাচার। কোর ক্যাচারটি তথাকথিত ‘স্যাকরিফিশিয়াল’ উপাদান দিয়ে পূর্ণ থাকে। সর্বাধিক জরুরি অবস্থায় (যার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে) রিয়্যাক্টর কোরের মেল্ট ডাউন ঘটলে তা এই কোর ক্যাচারে এসে জমা হবে এবং পার্শ্ববর্তী পরিবেশে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়া রোধ করবে।

২০১৪ সালে সম্পাদিত রাশিয়া-হাঙ্গেরী আন্তঃসরকারী চুক্তি এবং অন্য তিনটি মৌলিক চুক্তির অধীনে পাকস-২ পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে দুটি ইউনিট থাকবে যার প্রতিটিতে স্থাপিত হবে থ্রি প্লাস প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর-১২শ রিয়্যাক্টর। এসব রুশ রিয়্যাক্টর সব ইউরোপীয় ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম। ইউরোপীয় ইউনিয়নে পাকস-২ই হচ্ছে একমাত্র রুশ পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রতিটি বিদ্যুৎ ইউনিটের জীবন চক্রের দৈর্ঘ্য হবে ৬০ বছর। বর্তমানে হাঙ্গেরীতে ভিভিইআর-৪৪০ রিয়্যাক্টরভিত্তিক চারটি বিদ্যুৎ ইউনিট চালু রয়েছে যা দেশের বিদ্যুৎ চাহিদার অর্ধেকের বেশি পূরণ করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২৪
এসকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।