ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

রূপপুরের দ্বিতীয় ইউনিটের গুরুত্বপূর্ণ ইকুইপমেন্ট ডেলিভারি সম্পন্ন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২৪
রূপপুরের দ্বিতীয় ইউনিটের গুরুত্বপূর্ণ ইকুইপমেন্ট ডেলিভারি সম্পন্ন

ঢাকা: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সাইটে এসে পৌঁছেছে দ্বিতীয় ইউনিটের জন্য প্রয়োজনীয় একটি ইকুইপমেন্ট ‘ট্রান্সপোর্ট লক’। এটি ইউনিটের জ্বালানি হ্যান্ডেলিং ব্যবস্থার একটি অংশ।

খুব শিগগিরই রিয়্যাক্টর ভবনে এটি স্থাপনের কাজ শুরু হবে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি সংস্থার (রসাটম) পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় ৷

রসাটম এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

এতে বলা হয়, রিয়্যাক্টর কম্পয়ার্টমেন্টের গুরুত্বপূর্ণ এই ইকুইপমেন্ট সিলিন্ডার আকৃতির, এর ওজন ২৩৫টন, দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ৭মিটার এবং ব্যাস ১০ মিটার। এটির অন্যতম একটি কাজ হলো কন্টেইনমেন্ট থেকে তেজস্ক্রিয় বস্তুর নির্গমন প্রতিরোধ নিশ্চিত করা এবং একইসঙ্গে অগ্নি প্রতিরোধ করা। বিদ্যুৎকেন্দ্রের অপারেশন চলাকালীন বিভিন্ন মালামাল মেরামতের জন্য রিয়্যাক্টর প্ল্যান্টের মেইন্টেনেন্স লেভেলে পরিবহন করা ছাড়াও নতুন জ্বালানি লোড এবং ব্যবহৃত জ্বালানি আনলোডের ক্ষেত্রে ইক্যুইপমেন্টটির প্রয়োজন হয়।

এটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের ভাইস-প্রেসিডেন্ট (বাংলাদেশ প্রকল্প) আলেক্সি দেইরী জানান, ‌রূপপুর এনপিপির দুটি ইউনিটের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া যেমন ইকুইপমেন্ট সরবরাহ ও ইন্সটলেশন, স্টার্টআপ এবং অ্যাডজাস্টমেন্টের কাজ স্বাভাবিক গতিতেই এগিয়ে চলছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা নিশ্চিত করেই বলতে পারি যে, রসাটম বাংলাদেশের প্রতি তার অঙ্গীকার যথাযতভাবে পূরণ করছে এবং দেশের জনগণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মঙ্গলের স্বার্থে নিজস্ব প্রযুক্তির নির্ভরযোগ্যতা, নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিয়েছে।

রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় রূপপুরে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। দুই ইউনিট বিশিষ্ট কেন্দ্রটির মোট উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২৪শ মেগাওয়াট। প্রথম ইউনিটটি স্টার্টআপের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। কেন্দ্রটিতে ব্যবহৃত হচ্ছে সর্বাধুনিক রাশিয়ার থ্রিপ্লাস প্রজন্মের ভিভিইআর ১২শ রিয়্যাক্টর যা সব আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আয়ুষ্কাল ধরা হয়েছে ৬০ বছর তবে, প্রয়োজনে তা আরও ২০ বছর বাড়ানো সম্ভব হবে। দেশের নিরবচ্ছিন্ন মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে এবং বেইজ লোড বজায় রাখতে কেন্দ্রটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে। প্রকল্পটির জেনারেল কন্ট্রাকটর রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি সংস্থা রসাটমের প্রকৌশল বিভাগ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২৪
এসকে/এএটি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।