ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন ও তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট বন্ধ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২৪
বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন ও তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট বন্ধ

নীলফামারী: দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১৪১৪ নম্বর ফেইজের উত্তোলনযোগ্য কয়লার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সাময়িক কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়েছে।  

শনিবার (৩০ নভেম্বর) বন্ধ হওয়া ১৪১৪ ফেইজ থেকে ৪ লাখ ৬৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে।

 

১৩০৫ নতুন ফেইজে যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে কয়লা উত্তোলনের প্রস্তুতিমূলক কারিগরি কাজ শুরু হয়েছে। নতুন এই ফেইজ থেকে ৩ লাখ ৬০ মেট্রিক টন কয়লা মজুদ রয়েছে। ২০২৫ সালের আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নতুন এই ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলনের সম্ভাবনা রয়েছে।  

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, চলতি বছরের গত ৭ আগস্ট থেকে ১৪১৪ নম্বর ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। শনিবার (৩০ নভেম্বর) ফেইজের উত্তোলনযোগ্য কয়লা শেষ হওয়ায় নতুন ফেইজে যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে কয়লা উত্তোলন সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।  

প্রয়োজনীয় ইক্যুইপমেন্ট প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম শেষে নতুন ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করতে আনুমানিক প্রায় দুই মাস সময় লাগতে পারে।  

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে উৎপাদিত কয়লা দিয়ে পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়ে থাকে। বর্তমানে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের কোল ইয়ার্ডে প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লার মজুদ রয়েছে। গত বুধবার (২৭ নভেম্বর) তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াটের ১ নম্বর ইউনিটটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায়। এই ইউনিট থেকে প্রতিদিন ৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হতো। কয়লার প্রয়োজন পড়তো প্রতিদিন ৭শ মেট্রিক টন।  

এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াটের ৩য় ইউনিট থেকে উৎপাদিত ১৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। এটি চালু রাখতে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ৬শ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হয়। মজুদকৃত কয়লা দিয়ে প্রায় ৬ মাস বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। ফেইজ পরিবর্তন জনিত কারণে দুই মাস কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোনো সমস্যা হবে না। আশা করছি আগামী এক সপ্তাহে মধ্যে ১ নম্বর ইউনিটটি উৎপাদনে যাবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।