ঢাকা: সৌরশক্তির অমিত সম্ভাবনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জার্মানির থোমা গ্রুপের জেভিজি থোমা জিএমবিএইচ বানেকো সোলার এনার্জি নামে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।
শনিবার রাজধানীর গুলশানে ইমান্যুয়েল ব্যাংকোয়েট হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বানেকো সোলার এনার্জির কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জার্মানির রাষ্ট্রদূত ড. আলক্রেখট কোনজি, বানেকো সোলার এনার্জির চেয়ারম্যান চৌধুরী মুগিস উদ্দিন, ব্যবস্থাপনা পরিচাল একেএম মুজিবুর রহমান, উপদেষ্টা চৌধুরী মুনির উদ্দিন মাহফুজ, জেভিজি থোমা জিএমভিএইচ’র প্রেসিডেন্ট হ্যানস থোমা, ভাইস প্রেসিডেন্ট লুদউইগ থোমা, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শারমিন লাকি প্রমুখ।
জার্মানির রাষ্ট্রদূত ড. আলক্রেখট কোনজি বলেন, “সৌরশক্তি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। বাংলাদেশে সৌরশক্তি ব্যবহার করে সেচ সমস্যার সমাধান করা যেতে পরে। এছাড়া সৌর প্যানেল দিয়ে এদেশে সোলার পার্ক, একক বাড়ী, এপার্টমেন্ট, শিল্প কারখানা, শপিং কমপ্লেক্স, সেচ পাম্প, স্ট্রিট লাইট ইত্যাদি স্থাপন করা যেতে পারে। ”
তিনি আরও বলেন, সৌর প্যানেলের ব্যবহার এদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে। এদেশের শিক্ষার্থীরা বিদ্যুতের অভাবে ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারে না। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর। তাই যদি সৌর প্যানেল ব্যবহার করে দিনের সূর্যের আলো ব্যবহার করে তাদের জন্য ভালো আলোর ব্যবস্থা করা যায় তবে তা শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। ”
বানেকো সোলার এনার্জির ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম মুজিবুর রহমান বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সংকটের সময় পরিবেশবান্ধব সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি, যা দেশের বিদুৎ সমস্যা সমাধানে সহায়তা করবে। ”
তিনি আরও বলেন, “আমরা বাৎসরিক ২০ মেগাওয়াট বিদুৎ প্যানেল উৎপাদন করতে সক্ষম। ইতিমেধ্য আমরা গাজীপুরের জয়দেবপুরের টেকনগপাড়ায় কারখানা স্থাপন করেছি। ”
মুজিবুর রহমান বলেন, “জার্মানির থোমা গ্রুপ বাংলাদেশে সোলার এনার্জির কারখানা প্রতিষ্ঠার জন্য স্থানীয় এজেন্ট ও কনসালটেন্ট নিয়োগ করেছে। যার ফলে আমাদের দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণে বানেকো ভূমিকা রাখবে। ”
কোম্পানির উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, “বানেকো সোলার এনার্জি কর্তৃক নির্মিত সোলার প্যানেল দ্বারা সোলার পার্ক, একক বাড়ী, এপার্টমেন্ট, শিল্প কারখানা, শপিং কমপ্লেক্স, সেচ পাম্প, স্ট্রিট লাইট ইত্যাদি স্থাপন করা যাবে। বিশেষ করে সৌরশক্তি চালিত সেচ পাম্প ব্যবহার করলে দেশে বিদ্যুৎ চাহিদা অনেকাংশে কমানো সম্ভব হবে। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১২
এসএনএইচ/এজে