ঢাকা: ভবন বা মার্কেটে আলোকসজ্জা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু অনেকেই মানছে না বিদ্যুৎ বিভাগের এই আদেশ।
মাঠ পর্যায়ে নেই কোনো রকম তদারকি। যে কারণে সন্ধ্যা থেকে গভীররাত পর্যন্ত প্রতিযোগিতামূলকভাবেই চলছে চোখ ধাঁধানো এ আলোক ছটা। বুধবার রাতে ১১টায় নগরীর মধ্যবাড্ডা লুৎফন শপিং কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, বাহারি আলোকসজ্জা। খানিকটা এগিয়ে গেলেই হল্যান্ড সেন্টার শপিং কমপ্লেক্স। ১৩তলা বিশিষ্ট ভবনটির পুরোটা জুড়েই চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা দিয়ে সাজানো হয়েছে।
হল্যান্ড সেন্টারের উল্টো দিকে হোসেন সুপার মার্কেটে তিন তলা পর্যন্ত লাইটিং করা হয়েছে। এই মার্কেটটি থেকে উত্তরে এগিয়ে গেলেই সুবাস্তু নজর ভ্যালি শপিং মল। মার্কেটটির আগা গোড়া মোড়ানো হয়েছে আলোকসজ্জা দিয়ে। রাত ১২টার দিকেও দেখা গেছে এসব বাহারি আলোকসজ্জা।
উত্তর বাড্ডায় কনফিডেন্স শপিং মলে রাত ১টার দিকেও বিদ্যুৎ বিভাগ নিষিদ্ধ আলোকের ঝলকানি দেখা গেছে।
নগরীর অভিযাত এলাকা খ্যাত গুলশানের চিত্র আরও বেশি ভয়াবহ। সেখানে সর্বত্র আলোকসজ্জা চোখে পড়েছে। গুলশান মার্কেট বন্ধ থাকলেও মাঝ রাতেও আলো জ্বলতে দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি রকমের আলোক ধারা দেখা গেছে গুলশানের রূপায়ন টাওয়ারে।
৯ তলা ভবনটির পুরোটাই লাল নীল বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। অন্যান্য শপিং মলের সম্মুখভাগে আলোকসজ্জা করা হলেও রূপায়ন টাওয়ারে সম্মুখভাগ (পূর্ব দিকে) তো আছেই। সঙ্গে উত্তর দিকেও আলোকসজ্জা করা হয়েছে। একইভাবে লেভন টাওয়ারও পুরো ভবনটি মরিচ বাতি দিয়ে মোড়ানো হয়েছে।
পিছিয়ে নেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন ব্রান্ডের শো-রুমগুলোও। অলিতে গলিতে থাকা এসব শো-রুমেও আলোকসজ্জা দেখা গেছে। গুলশানে রোডসের শো-রুমে সারারাত ধরেই আলো জ্বলে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
ইকবাল হোসেন নামের মধ্যবড্ডার এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানান, এভাবে অপচয়ের কোনো মানে হয় না। সরকার আলোকসজ্জা নিষিদ্ধ ঘোষণা দিয়েছে শুনেছি। কিন্তু লাইটিং তো প্রকাশ্যেই চলছে। তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন।
ইকবাল হোসেন দাবি করেন, ঘোষণা দেওয়ার পর কেউ না মানলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এভাবে প্রকাশ্যে আইন অমান্য হলে অন্যরা আইন অমান্যে উৎসাহী হবে। তাতে আইন না মানার প্রবণতা তৈরি হয়।
প্রধানমন্ত্রী বিদ্যু জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী মালিবাগ সাব স্টেশন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, কোনোভাবেই আলোকসজ্জা মেনে নেওয়া হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৩
ইএস/সম্পাদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর