ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

রামপাল প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৩
রামপাল প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য

ঢাকা: তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে যুক্তি দিয়েছেন তা তথ্যভিত্তিক নয়।  
 
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি জাতীয় পার্টির একজন সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়।

তাই এই বক্তব্য আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।
 
তিনি বলেন, ইতিপূর্বে প্রধানমন্ত্রী একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন এবং যথারীতি পরবর্তীতে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি বিভিন্ন সময়ে সংবাদ সম্মেলন ও জনসভায় যুক্তি দিয়ে তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছে।
 
 প্রধানমন্ত্রী যুক্তি দিয়েছেন বহুদিন ধরে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু আছে কিন্তু সেখানে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হয়নি।
 
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, বড়পুকুরিয়ায় ২০ বছর ধরে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে তা গড়ে ৮০ মেগাওয়াটের বেশি নয়। ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষতি আর প্রস্তাবিত রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৩২০ মেগাওয়াটের ক্ষতি অবশ্যই এক স্কেলের হতে পারে না।
 
বড়পুকুরিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন রামপালের প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১৬ ভাগের ১ ভাগ; একথা সবারই জানা। ক্ষতির মাত্রা স্কেলের উপর নির্ভর করে, এমনকি ক্ষতি অনুপাতের তুলনায় বহুগুণ হতে পারে। এমনকি সহনশীলতার সীমা লঙ্ঘন করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
 
অতএব বড়পুকুরিয়ায় যে সামান্য ক্ষতি হয়েছে, তা দিয়ে বিরাট আকারের রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতি তুলনা করে সুন্দরবনের মতো পরিবেশ স্পর্শকাতর স্থানে আনুপাতিক যু্ক্তি গ্রহণযোগ্য নয়, বলেন প্রকৌশলী শহীদুল্লাহ।
 
তিনি বলেন, বড়পুকুরিয়াতে সামান্য স্কেলে যে ক্ষতি হয়েছে তা সামান্য হলেও মানুষের ব্যাপক দুর্দশার কারণ হয়েছে। স্বচক্ষের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সেখানে কয়লার গুড়ো পানিতে মিশে শস্যের ক্ষতি করেছে এবং সামান্য পানির  চাহিদা মেটাতে ভূগর্ভস্থ পানি শূন্যতাও হয়েছে। পানি দ‍ূষিত হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তেল-গ্যাস কমিটির এই নেতা।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ও যুক্তি আদৌ তথ্যভিত্তিক নয়, গ্রহণযোগ্যও নয়। তাই প্রধানমন্ত্রী রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিবেশের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন জাতীয় কমিটি তা প্রত্যাখ্যান করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৩
ইএস/এমজেএফ/জেসিকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।