ঢাকা: নির্মাণাধীন বড় ও মাঝারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ২০১৮ সালের আগে উৎপাদনে আসার সম্ভাবনা নেই। সে কারণে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
রোববার বিদ্যুৎ ভবনে ‘স্থায়িত্বশীল জ্বালানি নিরাপত্তা’ শীর্ষক কর্মশালায় বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলাম এ মন্তব্য করেন।
বিদ্যুৎ সচিব বলেন, এরই মধ্যে কয়েকটির মেয়াদ ৫ বছর করে বাড়ানো হয়েছে। আরও কয়েকটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ কস্ট ধরা হয়েছে। কিন্তু আগের হারে ভাড়া ধরা হয়নি।
তিনি বলেন, আগে রেন্টাল, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে সমালোচনা ছিল। এখন আর সমালোচনা নেই। প্রমাণিত হয়েছে, এগুলো স্থাপনের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।
তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন নিরাপদ নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকার সবগুলো বিকল্পই কাজে লাগাতে সচেষ্ট ছিল। প্রথম বিকল্প ছিল গ্যাস। কিন্তু আমাদের গ্যাসের মজুদ যথেষ্ট নয়। দ্বিতীয় বিকল্প ছিল কয়লা। কিন্তু আমরা অভ্যন্তরীণ কয়লা উত্তোলনে যথেষ্ট উদ্যোগ নিতে পারিনি।
রামপালে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সমালোচনার জবাবে বলেন, যেখানে যাবেন সেখানে কোনো না কোনো সমস্যা থাকবে।
সুশীল সমাজের উদ্দেশে বিদ্যুৎ সচিব বলেন, তাদের আন্দোলনের কারণে আমরা আরও বেশি সচেতন হয়েছি। যদিও আমরা এমনিতেই সচেতন ছিলাম।
বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে। আরও অনেকগুলো বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। বিনিয়োগকে এই খাতের বড় চ্যালেঞ্জ বলেও মন্তব্য করেন সচিব।
বিদ্যুৎ বিভাগ ও বাংলাদেশ ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিডেট যৌথভাবে কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিডেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভিএস তাম্রকার।
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আপগ্রেড প্রযুক্তি নিয়ে বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম-সচিব আনোয়ার হোসেন নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএম খোরশেদুল আলম।
আলোচনায় অংশ নেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুহু রুহুল্লাহ, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার মইন উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর