ঢাকা: দ্রুততম সময়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিতে চায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বৃহস্পতিবারেই ঘোষণা দেওয়ার জোর প্রচেষ্টা চলছে বলে কমিশন সূত্র জানিয়েছে।
কমিশনের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে কাজ শেষ হলে বিকেলেই দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হবে।
আর যদি তেমনটি সম্ভব না হয়, তাহলে আগামী সপ্তাহে দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
৬ জানুয়ারি গণশুনানি শেষে বিইআরসি চেয়ারম্যান এআর খান বলেছিলেন, আমরা দেশবাসিকে টেনশনে রাখতে চাই না। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
একই দিন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে অফিস করেন প্রধানমন্ত্রী।
সেদিন বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পক্ষে নীতিগত সম্মতি দেন। একই সঙ্গে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য শীত উপযুক্ত সময় হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর থেকেই শুরু হয় দাম বৃদ্ধির প্রক্রিয়া।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির গণশুনানি শুরু হয় ৪ মার্চ মঙ্গলবার। প্রথম দিন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি গ্রহণ করা হয়।
দ্বিতীয় দিন বুধবার সকালে ডিপিডিসি, বিকেলে ডেসকোর প্রস্তাবের ওপর শুনানি হয়। আর শেষ দিন ৬ মার্চ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি গ্রহণ করা হয়।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ১৫.৫০ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। আর বিইআরসির মূল্যায়ন কমিটি ৬.৬৬ বাড়ানোর সুপারিশ দিয়েছে।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১২.৫৮ শতাংশের বিপরীতে ৩.৪৮ শতাংশ সুপারিশ দেয় বিইআরসি।
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) ২৩.৫০ শতাংশ প্রস্তাব দিয়েছিল। আর বিইআরসি গড়ে ৬.০৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ দিয়েছিল। ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) ১৫.৯০ শতাংশের বিপরীতে ২.০১ শতাংশ এবং ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পনি (ওজোপাডিকো) ৮.৫১ শতাংশের বিপরীতে ৭.৫১ শতাংশ দাম বাড়ানোর সুপারিশ দিয়েছিলো মূল্যায়ন কমিটি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১২ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৪