ঢাকা: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার পালাটানায় ৭২৬ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রধান সরঞ্জাম ‘টারবাইন’ বোঝাই জাহাজ শনিবার কলকাতার হলদিয়া বন্দর থেকে রওয়ানা হচ্ছে। এটির গন্তব্য বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর।
বঙ্গোপসাগর হয়ে মেঘনা দিয়ে এটি যাবে আশুগঞ্জে। সেখান থেকে বড় ট্রাকে যাবে ত্রিপুরার পূর্বপ্রান্তের পালাটানায়।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের সরঞ্জাম পরিবহনের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবিসি ইন্ডিয়ার ত্রিপুরা রাজ্যের প্রধান ডি এন তিওয়ারি বৃহস্পতিবার বাংলানিউজকে এ কথা বলেন।
ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎমন্ত্রী মানিক দে এবং মূখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের সচিব দীনেশ দাশ বাংলানিউজের কাছে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
কলকাতার হলদিয়া বন্দরে বৃহস্পতিবার টারবাইনটি জাহাজে তোলার কাজ শুরু হয় বলে সূত্র জানায়।
ডি এন তিওয়ারি জানান, পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৯০টি যন্ত্রপাতি আসবে হলদিয়া বন্দর থেকে। এর মধ্যে ২৮০ মেট্রিক টন ওজনের গ্যাস টারবাইনটিই সবচেয়ে ভারী ও বড়।
৭০ চাকাবিশিষ্ট একটি ট্রাক প্রয়োজন হবে টারবাইনটি আশুগঞ্জ থেকে পালাটানায় নিতে।
৭২৬ দশমিক ৬ মেগাওয়াট মতার কম্বাইন্ড সাইকেল গ্যাস টারবাইন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে ভারতের তেল গ্যাস করপোরেশন ‘ওএনজিসি’-র আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠান ওটিপিসি (ওএনজিসি ত্রিপুরা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড)। এ প্রতিষ্ঠানগুলো রাষ্ট্র, রাজ্য ও পাবলিক শেয়ারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
ত্রিপুরা রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাল পরিবহণে ওএনজিসি ভারি পণ্য পরিবহণের জন্য ভারতের সবচেয়ে বড় পরিবহণ ও আন্তর্জাতিক ফ্রেইট ফরোয়ার্ডিং প্রতিষ্ঠান ‘এবিসি ইন্ডিয়া’র সঙ্গে চুক্তি করেছে।
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে এসব মালামাল পরিবহণের অনুমোদনপত্র গত নভেম্বরেই ত্রিপুরা সরকারের হাতে পৌঁছায় বলে মানিক দে জানান।
জুনের মধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণের কাজ শুরু করার ব্যাপারে ওটিপিসি আশাবাদী বলেও জানালেন তিনি।
রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাজ্যের ৪৪ নম্বর জাতীয় মহাসড়কের অনেক অংশই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভারী সরঞ্জাম নিয়ে লরির চলাচলের উপযোগী নয়। এই জন্য পশ্চিম ও দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সড়ক প্রশস্তকরণ ও সেতু মেরামতের কাজ জোরেশোরে চলছে। ’
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১১