ভোলা: যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হয়ে পড়ার প্রায় নয় মাস পর চালু হলো ভোলার একমাত্র গ্যাস ভিত্তিক ৩৪ দশমিক ৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন রেন্টাল প্লান্ট।
শনিবার রাতে এটি পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদনে গেলেও রোববার সকাল থেকে এতে পুরোদমে উৎপাদন শুরু হয়েছে।
রোববার সকাল থেকেই জেলার বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম চলছে। তবে বেশ কিছু স্থানে ঘুর্নিঝড়ে সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন থাকায় সেখানে এখনও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়নি। বিকেলের মধ্যে ওই সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।
গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্লান্টের ব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান জানান, দেশি-বিদেশি অভিজ্ঞ প্রকৌশলী দিয়ে দীর্ঘ মেরামত কাজ শেষে গ্যাস ভিত্তি বিদ্যুৎ প্লান্টকে উৎপাদনে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। শনিবার রাত থেকেই জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। বর্তমানে ১৫ মেগাওয়ার্ট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আরো বেশি উৎপাদন হবে।
তিনি আরো জানান, অতিরিক্ত মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন আরো চারটি মেশিন প্রস্তুত রয়েছে খুব শীঘ্রই তা চালু হবে।
ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম সোহরাব আলী বিশ্বাস জানান, সাড়ে ৩৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে গেছে এখন আর ভোলায় বিদ্যুতের তেমন সমস্যা হবে না। সমগ্র জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা সম্ভব হয়নি।
বিদ্যুৎ বিতরনকারী সংস্থা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মাজেদ বলেন, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ লাইন মেরামত কাজ চলছে, তাই কাঙ্খিত পরিমান বিদ্যুৎ লোড নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। পর্যাক্রমে সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে।
গত বছরের ১০ আগস্ট যান্ত্রিক ত্রটির কারণে ভোলার একমাত্র গ্যাস ভিত্তিক রেন্টাল মেশিন বিকল হয়ে যায়। এতে চরম বিদ্যুৎ বিপর্যায়ের মধ্যে পড়ে দ্বীপজেলার মানুষ। বিকল্প ব্যবস্থায় এ নয় মাস ধরে জাতীয় গ্রিডের পটুয়াখালী ও বরিশাল লাইন থেকে সামান্য বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হলেও তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম ছিলো। ফলে বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়েই প্রায় নয় মাস অতিবাহিত করতে হয়েছে ভোলাবাসীকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৪