ঢাকা : প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বিদ্যুৎ খাতের অনিয়ম দুনীর্তি কমাতে শিগগিরই ই-টেন্ডারিং চালু হচ্ছে। এরই মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগে ৫০ ভাগ কাজ ই-টেন্ডারিং এর মাধ্যমে হচ্ছে।
শুক্রবার বিকেলে বিদ্যুৎ ভবনে ‘বিদ্যুৎ খাতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উন্নয়ন’ বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা একথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, তথ্যের উপস্থাপন এবং আন্তঃযোগাযোগের জন্য একই ধরনের সফটওয়্যার হলে সকল বিভাগের সঙ্গে কাজে সমন্বয় করা সহজ হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুল হক এমপি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করে আলোকিত বাংলাদেশ গড়তে হলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। বিদ্যুৎ খাতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে বিদ্যুতের সাশ্রয় হবে, সিস্টেম লস কমবে এবং অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল করা মানেই হল কম্পিউটারাইজ নয়। ডিজিটাল মানে গ্রাহক সেবার মান ও তদারকি ব্যবস্থা ভাল করা।
ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, খেলা চলাকালীন সময়ে সকল এলাকাতে সমান ভাবে বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হবে না। তবে প্রজেক্টর এর মাধ্যমে এলাকায় এলাকায় দেখানোর জন্য বলা হয়েছে। জেলা উপজেলায়ও একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ও প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান বলেন, এখন যে আলাদা আলাদা ভাবে বিভিন্ন দরকারি সফটওয়্যার ডেভেলপ করা হচ্ছে, সে সব সফটওয়ারগুলোকে সমন্বয় করার পরামর্শ দেন।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় একটি স্বতন্ত্র সার্বজনীন সফটওয়ার তৈরি করছে। যেহেতু সকল মন্ত্রণালয়কে পরিকল্পনা কমিশনের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে কাজগুলো এগিয়ে নিতে হয়, সে কারণে প্রতিটি বিভাগ থেকে সঢফটওয়্যার তৈরি সময় পরিকল্পনা কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে।
সেমিনারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এডিপি প্রজেক্ট মনিটরিং, স্টোর ম্যানেজম্যান্ট, কাস্টমার কমপ্লেইন ম্যানেজম্যান্ট, অন-লাইন বিল পেমেন্ট, এসএমএস-এর মাধ্যমে বিল পরিশোধ ও প্রি-পেইড ই-মিটারিং এবং ই-ফাইলিং বিষয়ে ৬টি সফটওয়ার উপস্থাপনা পেশ করা হয়।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব তাপস কুমার রায়, পিডিবি’র চেয়ারম্যান এ এস এম আলমগীর কবির এবং আরইবি’র চেয়ারম্যান ভুইয়া সফিকুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময় : ১৯৫১, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১১