সংসদ অধিবেশন থেকে: ২০১৩ সালের এপ্রিলে ডেমু ট্রেন চালুর পর থেকে এ পর্যন্ত জ্বালানি বাবদ খরচ হয়েছে ৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। এ সময়ে আয় হয়েছে ৩ কোটি ৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।
ডেমু ট্রেনে জ্বালানি খরচের বাইরে কোনো খরচ হয়নি বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক।
বুধবার জাতীয় সংসদে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদে এ কথা জানান।
মন্ত্রী জানান, যাত্রীদের সেবার মান ও পরিধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে আন্তঃনগর, মেইল অ্যান্ড এক্সপ্রেস এবং সাধারণ যাত্রীবাহী ট্রেনের পাশাপাশি, গত ২৪ এপ্রিল রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিম অঞ্চলের ১১টি রুটে এ ডেমু ট্রেন চালু করা হয়।
তিনি আরও জানান, ট্রেন পরিচালনার লক্ষ্য যাত্রীদের সেবা দেওয়া। লাভ-লোকসানের বিষয়টি মুখ্য নয়। তবে ডেমু ট্রেন চালু হওয়ার পর জামায়াত-বিএনপি’র নাশকতার কারণে সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে প্রত্যাশিত যাত্রী না হওয়ায় আয় করা সম্ভব হয়নি।
ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল’র অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রেলওয়েতে লোকোমেটিভ ও যাত্রীবাহী কোচের তীব্র সংকট রয়েছে। তবে সংকট নিরসন কল্পে লোকোমোটিভ ও যাত্রীবাহী কোচ মেরামত এবং কোচ সংগ্রহের কাজ চলছে।
প্রয়োজনীয় সংখ্যক যাত্রীবাহী এবং লোকোমোটিভ কোচ প্রাপ্যতা নিশ্চিত হলেই ঢাকা-ঝাজিয়া, জাঞ্জাইল-ঢাকা রুটে আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হবে বলেও জানান রেলপথ মন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৪