বগুড়া: ট্রেড ইউনিয়ন গঠনসহ কয়েকটি দাবিতে যেকোনো মুহূর্তে আন্দোলনে যেতে পারেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১০ হাজার লাইনম্যান।
শ্রম আদালত (লেবার কোর্ট) ট্রেড ইউনিয়ন গঠন বিষয়ে একটি আদেশ দিয়েছে, সেই আদেশ অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা না হলেই সারাদেশে আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানান পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বগুড়ার লাইনম্যানরা।
রোববার বগুড়া পল্লী বিদ্যুতে কর্মরত সাইদুর রহমান, আব্দুর রহমান, জসিম উদ্দিন, জুলফিকার আলী, মোস্তাফিজুর রহমানসহ কয়েকজন লাইনম্যান বাংলানিউজকে জানান, সারাদেশে ৭২টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনে মাত্র ১০ হাজার লাইনম্যান কাজ করছেন, যেখানে কমপক্ষে ৩০ হাজার জনবল প্রয়োজন।
লাইনম্যানদের ক্ষেত্রবিশেষে দৈনিক ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টাও কাজ করতে হয়। স্বাভাবিক নিয়মে একজন লাইনম্যান দৈনিক ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করে পান মাত্র ৪০ টাকা।
তারা বলেন, এরপরও পান থেকে চুন খসলেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, বেতন কাটা, ডিমোশন, সাসপেন্ড, শো-কোজ করা হয়, দেখানো হয় চাকবিচ্যুতির ভয়।
তারা বলেন, এসবের বিরুদ্ধে সমিতির লাইনম্যানরা এখন সংগঠিত। অন্যায়ভাবে কিছু করলে আর সহ্য করা হবে না, বরং পাল্টা জবাব দেওয়া হবে।
সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত একটি সভা থেকে সারাদেশের লাইনম্যানদের এমন নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান বগুড়ার লাইনম্যানরা।
নিজেকে কেন্দ্রীয় নেতা দাবি করে আব্দুল মোত্তালেব বাংলানিউজকে জানান, যে লাইনম্যানরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিনরাত সমান তালে খেটে যাচ্ছে, আজ তারাই নানা অনিয়ম ও নির্যাতনের শিকার। ট্রেড ইউনিয়ন গঠন হওয়া মাত্রই এখানকার কর্মকর্তাদের মুখোশ খুলে যাবে। বেড়িয়ে আসবে থলের বিড়াল।
তাই কর্মকর্তারা কখনই চান না সমিতিতে ট্রেড ইউনিয়ন চালু হোক। কারণ এটা হলেই অনিয়মের প্রতিবাদে নামবে লাইনম্যান ও নিম্নপদস্থ কর্মচারীরা।
মোতালেব আরও বলেন, চলতি বছরের ১৭ জুন ঢাকা শ্রম আদালতের(লেবার কোর্ট) একটি আদেশে শ্রম পরিচালককে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অবিলম্বে এই আদেশ কার্যকর করা না হলে যেকোন সময় লাইনম্যানরা লাইন বিকল করে দিয়ে অতর্কিত কঠোর আন্দোলনে নামবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১০ ঘণ্টা, ২৯ জুন ২০১৪