ঢাকা: বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) দেড়শ’ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু বকর সিদ্দিকসহ চার আমলা এবং এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার শুনানি গ্রহণ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার বেলা ১২টা থেকে দুদক চেয়ারম্যান মোঃ বদিউজ্জামানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিশন তাদের শুনানি গ্রহণ শুরু করেছেন।
দুদকের দায়িত্বশীল সূত্র বাংলানিউজকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছে।
দুর্নীতির মামলায় যাদের শুনানি গ্রহণ করা হচ্ছে তারা হলেন- জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (বিপিসি’র সাবেক চেয়ারম্যান) আবু বকর সিদ্দিক, ওএসডিতে থাকা অতিরিক্ত সচিব (বিপিসি’র সাবেক সচিব) আনোয়ারুল করিম, বিপিসি’র সাবেক চেয়ারম্যান একেএম জাফরউল্লাহ (অবসরপ্রাপ্ত সচিব), সাবেক চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মুক্তাদির আলী এবং চট্টগ্রাম ওয়াসার সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) বিপিসি’র সাবেক ডিএমডি মোঃ আবদুল আউয়াল। তারা সবাই দুদকের মামলার আসামি।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ওশান লস (সমুদ্রে পরিবহনজনিত লোকসান) কম-বেশি দেখিয়ে আমদানিকৃত জ্বালানি তেলের বিপরীতে বিপিসি ১৫০ কোটি টাকা অতিরিক্ত মূল্য পরিশোধ করে। এ অর্থ আত্মসাৎ করেন বিপিসি’র সাবেক পাঁচ শীর্ষ কর্মকর্তা।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে ২০১৩ সালের ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দর থানায় মামলা করে দুদক। ৮ মাস তদন্ত শেষে ২৯ জুন পাঁচ কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন উপ-পরিচালক যতন কুমার রায়। এর আগেই নিজেদের নির্দোষ দাবি করে দুদক আইনের ২২ ধারা অনুযায়ী পাঁচ অভিযুক্তই ব্যক্তিগত শুনানির জন্য আবেদন জানান। এ আইন অনুযায়ী কমিশন প্রয়োজন মনে করলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শুনানির যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দিতে পারে।
জানা গেছে, মামলা-পরবর্তী দুদকের তদন্তেও অপরাধের সাথে এ পাঁচজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা কমিশনে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিটের সুপারিশ চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৪