ঢাকা: বিদ্যুতের পাইকারি দাম ১৮.১২ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) জমা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার পিডিবির এ প্রস্তাব কমিশনে জমা হয়েছে বলে বিইআরসি সূত্র জানিয়েছে। শিগগিরই কমিশন বৈঠক করে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করবে। বিপিডিবির প্রস্তাব গৃহীত হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই গণশুনানির মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে বিইআরসি।
বিপিডিবি আগামী জানুয়ারি থেকে প্রস্তাবিত মূল্য কার্যকর করার আবেদন করেছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যদি পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করা না হয়, তবে চলতি বছরে পিডিবির ভর্তুকির পরিমাণ প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকায় গিয়ে ঠেকবে।
আর যদি প্রস্তাব অনুযায়ী বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়, তবে ভর্তুকির পরিমাণ চার হাজার কোটি টাকায় নেমে আসবে। পিডিবির প্রস্তাব অনুযায়ী, দাম বৃদ্ধি হলে ইউনিটপ্রতি ৪.৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৫.৫১ টাকা হবে।
বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ পড়ছে ৬ টাকা ৫৪ পয়সা। আর পাইকারি বিক্রি হচ্ছে, ৪.৭০ টাকায়। এতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতে ১.৮৪ টাকা লোকসান হচ্ছে বলে দাবি করেছে বিপিডিবি।
অতীতে দেখা গেছে, পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়লে সঙ্গে সঙ্গেই গ্রাহক পর্যায়ে খুচরা বিদ্যুতের দামও বাড়ানো হয়েছে। এক্ষেত্রে কমিশন বিতরণ কোম্পানিগুলোর পৃথক প্রস্তাব নিতে থাকেন। অন্তবর্তীকালীন হিসেবে একই সঙ্গে গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ানোর অনেক নজির রয়েছে।
বিইআরসির সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ বাংলানিউজকে জানান, বিদ্যুৎখাত দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। ফলে, বিইআরসি চেষ্টা করছে বছরে একবার বিশেষ করে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় মূল্য সমন্বয় করার।
বিপিডিবির দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রসঙ্গে বলেন, একটি প্রস্তাব বিইআরসিতে এসে জমা হয়েছে। তবে আমি এখনও হাতে পাইনি।
সর্বশেষ, চলতি বছরের ১৩ মার্চ গ্রাহক পর্যায়ে ইউনিট প্রতি ৬.৯৬ শতাংশ দাম বৃদ্ধি করে বিইআরসি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় (২০০৯ থেকে) গ্রাহক পর্যায়ে সাতবার আর পাইকারি দাম ৬ দফায় বৃদ্ধি করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৪