ঢাকা: তদন্ত প্রতিবেদন দেখার পরই দু’একদিনের মধ্যে দেশে বিদুৎ বিপর্যয়ের (ব্লাক আউট) কারণ জানাবেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি। তবে কারণ জানার চেয়ে ভবিষ্যতে যাতে এ ধরণের আর কোনো সমস্যায় পড়তে না হয় তার উপরই সরকার গুরুত্ব দেবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিদুৎ ভবনে সাশ্রয়ী বিদুৎ ব্যবহারের ওপরের এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান, তদন্ত প্রতিবেদন এসেছে তবে তিনি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে হাত পাননি। (বুধবার) প্রতিবেদন হাতে পেলে সেটি ভালোভাবে দেখে সবার সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। সেখানে প্রতিবেদন নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও জবাব দেবেন মন্ত্রী।
১ নভেম্বর দেশে বড় ধরনের বিদুৎ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে। এদিন সারাদেশে ‘ব্লাক আউট’ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
তবে বাংলানিউজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিদুৎ বিপর্যয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয় প্রকাশ হওয়ায় মন্ত্রী বলেন, এখন সাংবাদিকরা খুব অ্যাকটিভ (দক্ষ)। তারা কোনো না কোনোভাবে প্রতিবেদনের তথ্য জেনেই সংবাদ লিখেছেন।
এজন্য সাংবাদিকদের ধন্যবাদ দেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান, দেশে এখন বিদ্যুতের চাহিদা কম আছে। এজন্য সব গ্রিডলাইনে অল্প করে বিদুৎ নেওয়া হচ্ছে। গ্রিড লাইনগুলোর উন্নত করার জন্য আধুনিকীকরণ ও ডিজিটালাইজ করবে সরকার।
এর আগে সেমিনারে মন্ত্রী বলেন, সাশ্রয়ী বিদুৎ ব্যবহারের দিকে যেতে হবে আমাদের। এজন্য জাইকার সহযোগিতায় মাস্টারপ্ল্যান তৈরি চলছে। এর সুফল পাবে দেশের মানুষ।
মন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে বিদুৎতের চাহিদা দ্রুত বাড়বে। যে কারণে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহারের দিকেই আমাদের যেতে হবে। অনেক জায়গায় মানুষ সোলার প্যানেল ব্যবহার করছে কিন্তু তা মানুষের তেমন কাজে আসছে না। সোলার প্যানেল দিয়ে শুধু ৩টি লাইট ব্যবহার করা যায়। এর ব্যাটারিও দীর্ঘস্থায়ী নয়। সাড়ে তিন বিলিয়ন ব্যাটারি ইতোমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, গ্রামে ৭০ শতাংশ নারী চুলার ধোঁয়ার আক্রান্ত হয়। সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত হলে ইলেকট্রিক কুকারে রান্না করতে পারবে। ফলে শ্বাসজনিত রোগ থেকে রক্ষা পাবে। বিশেষ করে চর এলাকায় বিদুৎ পৌঁছে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৪