ঢাকা: সমগ্র বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে ভারত থেকে শিগগিরই আসছে অতিরিক্ত আরো ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বৈদ্যতিক গ্রিডের ক্রস বর্ডার ইন্টারকানেকশন রয়েছে।
‘বিদ্যমান বাংলাদেশ (ভেড়ামারা)-ভারত (বহরমপুর) গ্রিড আন্তঃসংযোগ ক্ষমতা বর্ধিতকরণ (৫০০ মেগাওয়াট)’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি)।
পিজিসিবি সূত্র জানায়, প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভার জন্য প্রকল্পের সারসংক্ষেপ পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে পিইসি’র সভা হবে। এর পরে প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) নির্বাহী কমিটিতে চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে।
পিজিসিবি সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটির মোট ব্যয় ১ হাজার ৪১০ কোটি টাকা। এতে সরকারি খাত থেকে ৪৮৯ কোটি, সংস্থার নিজস্ব ৭২ কোটি ৫০ লাখ এবং ৮৪৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
প্রকল্পের মেয়াদকাল জানুয়ারি-২০১৫ থেকে জুন-২০১৮ পর্যন্ত। প্রকল্প এলাকা নির্বাচন করা হয়েছে ভেড়ামারা ও ঈশ্বরদী।
প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে- ভেড়ামার-বহরমপুর গ্রিড আন্তঃসংযোগের ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অতিরিক্ত ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানি করা। উভয় দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করা।
পিজিসিবি’র প্রধান প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, ভারত থেকে আরো ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করার জন্য প্রকল্পটি হাতে নিয়েছি। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যেই আমরা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে পারবো।
প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের কোন অঞ্চল বেশি উপকৃত হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারত থেকে অতিরিক্ত ৫০০ মেগাওয়াট আমদানি করা হলে এই বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে। সুতরাং কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চল উপকৃত হবে না, সারাদেশের মানুষ উপকৃত হবে।
তিনি জানান, প্রকল্পের আওতায় ভেড়ামারা-ঈশ্বরদী পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার ২৩০ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইন (রিভার ক্রসিংসহ) নির্মাণ করা হবে। ভেড়ামারায় দুটি ৫০০ মেগাওয়াট এইচভিডিসি ব্যাক টু ব্যাক উপকেন্দ্রও নির্মাণ করা হবে। ঈশ্বরদীতেই ২টি ২৩০/১৩২ কেভি উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। কারণ, এখানে আমাদের অতিরিক্ত জমি আছে। সেটি কাজে লাগানো হবে।
এদিকে, পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পের সারসংক্ষেপে নানা ধরনের ত্রুটি মিলিছে। অতিরিক্ত ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারতের কোন সঞ্চালন লাইন থেকে আনা হবে, তা ডিপিপি’তে উল্লেখ করেনি পিজিসিবি।
অপরদিকে, প্রকল্পের ডিপিপি’তে দেখা গেছে, প্রকল্পের স্পেয়ার্স পার্টস বাবদ ১১৩ কোটি ৩৫ লাখ, প্রতি কিলোমিটার ২৩০ কেভি ডাবল লাইন বাবদ প্রায় ৬ কোটি, পরামর্শক সেবা বাবদ ২৮ কোটি, প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন আইটেম সিডি, ভ্যাট বাবদ ২২৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা সংস্থান রাখা হয়েছে।
একটি জিপ, তিনটি ডাবল ক্যাব পিকআপ ও পাঁচটি মোটরসাইকেল বাবদ প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ টাকা সংস্থান রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৪