ঢাকা: বিদ্যুৎ উৎপাদনে সৌদি আরবের কাছ থেকে ৭শ’ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে আলোচনার লক্ষে এ মাসেই সৌদি আরব যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রীর ওই সফরে দু’দশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা ও সমঝোতা হবে বলে জানায় সূত্রটি।
এ বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ ধরনের একটি বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা এগিয়েছে। ’
অর্থমন্ত্রীর আসন্ন সফর সম্পর্কেও নিশ্চিত করেন তিনি। তবে অর্থমন্ত্রী তার সফরকালে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেবেন। প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি। এছাড়াও সৌদি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গেও তার আলোচনা হবে।
এদিকে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলামও রিয়াদে সাম্প্রতিক এক অনুষ্ঠানে এ সফরের বিষয় নিশ্চিত করেন।
এছাড়া সম্প্রতি সৌদি আরব সফর করে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সিনিয়র সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলমও এ ধরনের বিনিয়োগ প্রত্যাশার কথা জানান।
নতুন বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে সৌদি আরবকে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করার কথাও ভাবা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দেন মাহবুব আলম।
শুক্রবার তাদের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মাহবুবুল আলম একাধিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সৌদি আরবের কাছ থেকে ৭শ’ কোটি ডলার বিনিয়োগ পেতে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগের কথা জানান।
পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ খাতে বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর বাইরেও এ ধরনের আন্তর্জাতিক বিনিয়োগে সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে আগ্রহী সরকার। এর মধ্যে রয়েছে ১৫ বছরের জন্য কর্পোরেট আয়কর রেয়াত ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন সরঞ্জাম আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার। ’
এ বছরের গোড়ার দিকে বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান সৌদি আরব সফর করে দ্বৈতকর প্রত্যাহারের একটি চুক্তিও স্বাক্ষর করেন।
সফরকালে চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রতিনিধি দল রিয়াদ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গেও বৈঠক করে। ওই বৈঠকেও দুই দেশের মধ্যে ঔষধ শিল্পপণ্য, তৈরি পোশাক, জাহাজ নির্মাণ, ব্যাংকিং খাত, সবজি, ফল ও চামড়াজাত পণ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার ওপর জোর দেওয়া হয়।
দুই দেশের মধ্যে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার দ্বি-পাক্ষিক আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সৌদি আরবের পক্ষেই পাল্লা ভারী।
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলাম চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রতিনিধি দলকে দেওয়া এক সংবর্ধনায় বলেন, ‘এ মাসের শেষের দিকেই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সৌদি আরব আসছেন এবং ওই সফরকালেই দ্বি-পাক্ষিক নানা বিষয়ের সমাধান ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের নতুন নতুন দিক উন্মোচন সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১১