ঢাকা: আইনী জটিলতায় আটকে গেছে মনোহরদী-নরসিংদী লুপ লাইন প্রকল্পের কাজ। ঢাকা, ডেমরা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও কদমতলী এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য ২০১০ সালে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।
সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে এ প্রকল্পের কাজ পায় মেসার্স প্রবাহ প্রকৌশলী অ্যান্ড জেভি। কিন্তু ঠিকাদার নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে দ্বিতীয় দরদাতা মেসার্স পাইপ লাইন অ্যাসোসিয়েট ১৪ ডিসেম্বর ২০১০ হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করে যার নং ৯৬৬/১০।
রিটের প্রেক্ষিতে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করলে কাজ শুরুর আগেই ঝুলে যায় প্রকল্পটি । এ ব্যাপারে তিতাসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেছেন, ‘সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের খামখেয়ালির কারণে এ অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ’
নিষেধাজ্ঞা জারির পরে জোরালো পদক্ষেপের অভাবে প্রকল্পটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এদিকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে ব্যয় বাড়ার আশংকাও বাড়ছে।
কর্মকর্তাদের দুর্নীতিকে দায়ী করে একটি সূত্র বলেছে, ‘সঠিক নিয়ম মেনে ঠিকাদার নিয়োগ দিলে অন্য দরদাতার রিট করার সুযোগ থাকত না। ’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রিটকারি ঠিকাদার কোম্পানির এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘যথা নিয়মে ঠিকাদার নিয়োগ না দেওয়ায় আমরা রিট করেছি। ’
তিতাস সুত্র জানায়, ‘২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ডিপিপিতে অনুমোদিত হওয়া এ প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৮৪ কোটি ৯ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা। যা তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. এর অর্থায়নে সম্পন্ন হওয়ার কথা। ’
প্রকল্পের আওতায় নরসিংদী ভাল্ব স্টেশন থেকে ২৫ কিলোমিটার (২০ ইঞ্চি গুণন ১০০০ পিএসআই) সমান্তরাল পাইপ লাইন নির্মাণ করার কথা। প্রকল্পটি ২০১০-১১ অর্থবছরে সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ শেষ হয়েছে বলে তিতাস সূত্র জানায়।
সে মোতাবেক টেন্ডারের মাধ্যমে সর্বনিম্ন দরদাতা মেসার্স প্রবাহ প্রকৌশলী অ্যান্ড জেভি (জয়েন্ট ভেঞ্চার) কে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল আজিজ খান এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১১