ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

রুশ ভিভিইআর পারমাণবিক প্রযুক্তির ওপর লেকচার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৬
রুশ ভিভিইআর পারমাণবিক প্রযুক্তির ওপর লেকচার

ঢাকা: রসাটম করপোরেট একাডেমি ও রসাটম আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের উদ্যোগে ‘ভিভিইআর’ পারমাণবিক প্রযুক্তির ওপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’টি লেকচার সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট ও আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতায় চলতি সপ্তাহে আয়োজিত এ লেকচার সেশনের বিষয় ছিলো ‘ভিভিইআর প্রযুক্তি: বিবর্তন, নিরাপত্তা, রেফারেন্স এবং আধুনিক রুশ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র’।



রাশিয়ার অবনিন্স পারমাণবিক শক্তি ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক অলগা মামোত ভিভিইআর প্রযুক্তির ইতিহাস, অপারেশন, নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য, পরিবেশবান্ধবতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে থ্রি প্লাম প্রজন্মের যে ভিভিইআর ১২০০ চুল্লি স্থাপিত হতে যাচ্ছে তার ওপর তিনি বিশেষভাবে আলোকপাত করেন। ভিভিইআর ১২০০ প্রযুক্তির আবির্ভাবকে তিনি পারমাণবিক শক্তির ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেন।
তিনি মন্তব্য করেন, রাশিয়া ও রাশিয়ার বাইরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনে বিশ্বে রুশ রাষ্ট্রীয় করপোরেশন রসাটম শীর্ষস্থানে রয়েছে। এর মূল কারণ হচ্ছে, সংস্থাটির পারমাণবিক শক্তি কর্মসূচি বাস্তবায়নে সম্পূর্ণ সমাধান দিতে সক্ষম।
 
তিনি আরও জানান, পরবর্তী ১০ বছরের জন্য রসাটমের বৈদেশিক ক্রয়াদেশের পরিমাণ বর্তমানে ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
উভয় লেকচার সেশনে ঢাকার রুশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ও রুশ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রধান আলেকসান্দার ডেমিন বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিতভাবে এ জাতীয় লেকচার সেশন আয়োজনের ব্যাপারে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল ও বিশেষজ্ঞ তৈরির ব্যাপারে তিনি রুশ সরকারের সহযোগিতার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ জাতীয় প্রোগ্রাম আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই দরকারি; কারণ তারা পারমাণবিক শক্তির ক্ষেত্রে ব্যবহারিক জ্ঞানসম্পন্ন বক্তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু জানার সুযোগ পাচ্ছেন।

আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রধান অধ্যাপক সত্যেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, আমি বিশ্বাস করি, এর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা পারমাণবিক শক্তির ক্ষেত্রে কাজ করার জন্য অনুপ্রাণিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৬
এসআই/এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।