০১ মার্চ আটটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও থানচি উপজেলায় নতুন বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের যে মেগা প্রকল্পগুলো তার কাজ এখনও শুরু হয়নি।
সেচ মৌসুমে লোডশেডিং হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেচ মৌসুমের শুরুতে বিদ্যুতের একটু সমস্যা হতো, তবে এবার আর হবে না। সর্বোপরি বিদ্যুতের অবস্থা ভালো।
গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করেছেন, বিদ্যুতের মূল্য কবে বাড়বে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এখন তাদের ওপর বিষয়টি নির্ভর করবে।
বিদ্যুৎ খাতের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে কাজ করে যাচ্ছি। বৃহৎ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। দুই-তিন বছর পরে এলএনজি বেইজ বিদ্যুৎ আসবে। এলপিজি বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যাপারে চুক্তির আলোচনা চলছে।
নসরুল হামিদ বিপু বলেন, গত ৮ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে চলছে। ১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, উপকেন্দ্র, শতভাগ বিদ্যুতায়ন ও থানচি উপজেলায় নতুন বিদ্যুতায়নের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন। ৮টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন তিনি, এর মধ্যে ৫টি বেসরকারি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার মাইফলক অতিক্রম করেছি। ২০২১ সালে সবার জন্য বিদ্যুৎ -এ লক্ষ্য বাস্তবায়ন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়েছি। দেশের ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় রয়েছে। বাকি জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, শহর অঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। ৬টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। আগামীকাল আরও ১০টি যোগ হবে। আশা রাখছি, ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে ৪৬০টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়িত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, পিডিবি’র চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭
এমসি/আরআইএস/এমজেএফ