২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে ‘পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১৮ লাখ গ্রাহককে সংযোগ প্রদান’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাপবিবো। প্রকল্পের কাজ বর্তমানে একেবারে শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
দেশের ৬১টি জেলার ৪৫৩টি উপজেলায় ৭২টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির(পবিস) আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। সুলভ মূল্যে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে গ্রাম বাংলার অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি নতুন গ্রাহক সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন এর উদ্দেশ্য। এছাড়া প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি ও শিল্প খাতে উৎপাদন বৃদ্ধি, শিল্পায়ন সম্প্রসারণ এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করা হবে।
বাপবিবো সূত্র জানায়, ছয় মাস সময় কম লাগায় বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন, ৩৩ কেভি লাইন ও নতুন উপকেন্দ্র নির্মাণ খাতে অর্থ কম লাগছে। ভূমি অধিগ্রহণ, যানবাহন, অন্যান্য মালামাল-যন্ত্রপাতি ও কম্পিউটার অ্যাক্সেসরিজ কেনা এবং পরিবহন ও ল্যান্ডিং চার্জও কমছে।
ফলে নির্ধারিত ৬ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা থেকে প্রকল্পের ব্যয় কমছে ১৮১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় মোট ৪৭ হাজার ৫০০ কিলোমিটার নতুন বৈদ্যুতিক লাইন নির্মাণের কথা ছিল। এখন লাইন কমে দাঁড়াচ্ছে ৪৫ হাজার ১৪ কিলোমিটার। অন্যদিকে দুই হাজার কিলোমিটার ৩৩ কেভি নতুন লাইন নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো। এ খাতেও কমে নির্মাণ করা হচ্ছে ১ হাজার ৯০০ কিলোমিটার। তবে ৫০০ কিলোমিটার ৩৩ কেভি লাইন আপগ্রেডেশন করার কথা থাকলেও বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৫৮৬ কিলোমিটার।
এছাড়া ১০০টি ৩৩/১১ কেভি নতুন উপকেন্দ্র নির্মাণ ও ৫০টি ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে।
প্রকল্প পরিচালক (পিডি) বাপবিবো’র সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমরা সাধারণত ভাবি, প্রকল্প সংশোধন মানেই সময় অথবা ব্যয় বৃদ্ধি। কিন্তু এটি আমাদের বড় সফলতা যে, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ১৮ লাখের বেশি গ্রাহকের ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পারবো। একদিকে যেমন ছয় মাস আগেই বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছি, অন্যদিকে তেমনি প্রকল্পের ব্যয়ও কমছে ১৮১ কোটি টাকা’।
‘আমরা প্রকল্পের আওতায় এমনভাবে অবকাঠামোর উন্নয়ন করেছি যে, স্বল্প খরচেই ওই ১৮ লাখের বেশি গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যাবে। এটিও আমাদের বড় অর্জন’।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের আরও বেশ কিছু প্রকল্প চলমান রয়েছে, যেগুলো প্রচুর জনবল সংকটে ভুগছে। তাই এ প্রকল্পটি আগেই শেষ করার পরিকল্পনা আমাদের ছিলো, যাতে সফল হয়েছি। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সবার ডেডিকেশনেই এ অর্জন সম্ভব হয়েছে’।
‘সকল প্রকল্পই জনগুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি, নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে জনগণকে সুফল ভোগ করতে দেওয়া উচিত’।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর