চলতি গ্রীষ্মকাল ও আসন্ন রমজান মাসে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকেলে বিদ্যুৎ ভবনে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
রমজানকে সামনে রেখে শনিবার (২৭ মে) নাগাদ বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে দাবি করেছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, রমজানে আমাদের চাহিদা হবে প্রায় ১০ হাজার মেগাওয়াটের উপরে। আশা করছি শনিবারের দিকে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিতে পারবো। পরিস্থিতি ভালোর দিকে যাচ্ছে।
“এখন আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রায় আট হাজার মেগাওয়াটের উপরে হচ্ছে। আমাদের এখনও ১৫শ’ মেগাওয়াটের মতো প্রিয়ডিক্যাল সার্ভিসিংয়ে আছে। মেঘনাঘাটে সমস্যার কারণে প্রায় ৪০০ মেগাওয়াট কনজামশন করতে পারছি না বলে হঠাৎ করে এই ঝামেলাগুলো হচ্ছে। ”
সম্প্রতি আশুগঞ্জে টাওয়ার পড়ে গিয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট তৈরি হয় সারাদেশে।
তীব্র গরমের মধ্যে ধৈর্য ধরায় গ্রাহকদের ধন্যবাদও দেন নসরুল হামিদ বিপু।
তিনি বলেন, রমজানকে কেন্দ্র করে সিএনজি পাম্পগুলোকে অনুরোধ করেছি যেন ৫টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বন্ধ রাখে।
“তিতাসকে জানাবো ৫-১১টা পর্যন্ত বন্ধ রাখতে। সিএনজি পাম্পগুলো প্রতিবারের মতোই ৫-১১ বন্ধ রাখবে। এ বিষয়টা আমরা নিশ্চিত করতে চাচ্ছি, যেহেতু গ্যাসের একটা স্বল্পতা রয়েছে। বন্ধের বিষয়টি পহেলা রমজান থেকেই কার্যকর হবে। ”
বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শপিংমল বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাতির ব্যবহার সীমিত রাখবেন। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর তারাবি ও ইফতারের সময় যেন শপিংমল আর বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করলে আরও বেশি সাশ্রয় হবে বিদ্যুৎ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আমাদের পিক আওয়ারে লোড আরও দুই হাজার বাড়বে। কিন্তু রমজানের সময় আমরা পিক আওয়ার ধরছি না। যার কারণে অনুরোধ করছি, বিশেষ করে বৃহৎ শিল্প, স্টিল রি-রোরিং মিলগুলোকে, আশা করবো পিক আওয়ারে যেন তারা বন্ধ রাখেন। আমরা ইন্ডাস্ট্রির লোডটাকে রি-সিফটিং করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭/আপডেট ১৮৪৬ ঘণ্টা
এমআইএইচ/আইএ