বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী রোববার (৯ জুলাই) বিদ্যুৎ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।
তিনি বলেন, রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি ইউনেস্কো তাদের আপত্তি তুলে নিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় এবং সেটি সঠিক বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করলে তা সুন্দরবনের জন্য মারাত্মক বিপর্যয় বয়ে আনবে বলে এর আগে ইউনেস্কো ঘোষণা দিয়েছিল। তা থেকে আমরা মুক্ত হয়েছি। পোল্যান্ডের কারাকোতে অনুষ্ঠিত ৪১তম সেশনে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি এ সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ দল সঠিকভাবে চিত্র তুলে ধরেছে বলে এর সফলতা এসেছে।
তৌফিক-ই- ইলাহী বলেন, আমাদের ব্যাখ্যার পরেই কমিটি এ সিদ্ধান্ত দেয়। তারা বৈজ্ঞানিক যুক্তির পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা কমিটিকে বলেছি রামপাল প্রজেক্টে বিশ্বের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
তিনি বলেন, ২১ দেশের মধ্যে ১২টি সমর্থন জানিয়েছে। তুরস্ক এটি আমাদের হয়ে উপস্থাপন করেছে এবং সমর্থন করেছে। তারা সব যুক্তি মেনে নিয়েছে। ২০১৯ সালের শেষে রামপাল থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০১৭
কেজেড/এএ