সূত্র জানায়, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা দিয়ে প্রথম সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়েছে গত বছরের ০৩ ডিসেম্বর। নির্ভরযোগ্যভাবে ভারত থেকে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্যে উভয় দেশের মধ্যে নতুন ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইনটি নির্মিত হবে।
১৮৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে লাইনটি নির্মাণ করবে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) লিমিটেড। চলতি জুলাই মাস থেকে আগামী বছরের ডিসেম্বর মেয়াদে এটির নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হবে। এর পরেই একসঙ্গে হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হবে ভারত থেকে।
পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগে ইতোমধ্যেই এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে পিজিসিবি। প্রস্তাবনার ওপর নগরীর শেরে বাংলানগরে পরিকল্পনা কমিশনে আগামী ০৯ আগস্ট প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হবে। শিল্প ও শক্তি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সদস্য মোস্তফা কামাল উদ্দিন সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
মোস্তফা কামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘মূলত বিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্যেই বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় এ সঞ্চালন লাইন নির্মিত হবে। এ বিষয়ে পিজিসিবি আমাদের কাছে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে’।
পিজিসিবি সূত্র জানায়, ইতোপূর্বে নির্মিত বাংলাদেশ (ভেড়ামারা)-ভারত (বহরমপুর) ২৮ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন ও উপ-কেন্দ্রের মাধ্যমে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। এর অতিরিক্ত ৫০০ মেগাওয়াটসহ মোট ১০০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ আমদানির সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘ভেড়ামারা-বহরমপুর বিদ্যমান গ্রিড আন্তঃসংযোগের ক্ষমতা বর্ধিতকরণ (৫০০ মেগাওয়াট)’ শীর্ষক প্রকল্পটি ১৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, আগের লাইনের মাধ্যমে অতিরিক্ত ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা সম্ভব নয়। হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির অবকাঠামোগত সক্ষমতাও নেই লাইনটিতে।
এখন ১০০০ মেগাওয়াট আমদানির জন্য নতুন করে ৩০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইনসহ উপ-কেন্দ্রটি পুনর্নির্মাণের নতুন এ প্রকল্পটির প্রস্তাব করা হয়েছে। এজন্য জমির প্রয়োজন হবে। অথচ প্রথম প্রকল্পটির আওতায় ৩০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইনে ১০০০ মেগাওয়াটের সংস্থান রাখা হলে দ্বিতীয় লাইনটি স্থাপনের প্রয়োজন হতো না।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বাংলানিউজকে বলেন, ‘খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই লাইনটি নির্মিত হবে এবং নিরাপদ ভাবে হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারত থেকে আমদানি করা হবে’।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর