বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) গণশুনানিতে এ প্রস্তাব তুলে ধরেন আরইবি চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন।
তবে বিইআরসি কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি ৭.১৯ শতাংশ বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন।
শুনানি গ্রহণ করছেন বিইআরসি চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, সদস্য মিজানুর রহমান, রহমান মুরশেদ, আবদুল আজিজ খান ও মাহমুদউল হক ভুইয়া।
আরইবি চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে প্রতি ইউনিট ৬.৭৮ টাকা দরে ক্রয় করে সেচের জন্য ৪ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। কেনাবেচার মধ্যে ঘাটতি থাকায় প্রতি ইউনিটে ২.৭৮ টাকা লোকসান দেওয়া হচ্ছে। আরইবি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩শ ৫০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। এতে সমিতিগুলো তাদের ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারছে না। ঋণ ও সুদের কিস্তি বকেয়া পড়েছে ৬ হাজার ২শ কোটি টাকা।
আরইবি আবাসিকে ন্যূনতম বিল ৬৫ টাকা থেকে ২০ টাকা বাড়িয়ে ৮৫ টাকা করার প্রস্তাব করেছে। এছাড়া সার্ভিস চার্জ ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আবাসিকে সর্বনিম্ন ১.৫৬ শতাংশ থেকে ১২.৪৩ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধির প্রস্তাব করে আরইবি। এতে সর্বোচ্চ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে ৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিট ব্যবহারকারী গ্রাহকদের। এই ধাপে বর্তমানে ইউনিট প্রতি ৫.৬৩ টাকা রয়েছে। প্রস্তাব অনুমোদন হলে ইউনিট প্রতি দাম পড়বে ৬.৩৩ টাকা।
অন্যান্য শ্রেণীর গ্রাহকদের ক্ষেত্রেও সার্ভিস চার্জ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
আরইবির সারাদেশে ২ কোটি ১ লাখ গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশ গ্রাহকই আবাসিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৭
এসআই/এএ