আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের বিভিন্ন ইউনিট ও বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে পুরোদমে চালু করা হয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। দীর্ঘ পাঁচ মাস পর বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলাসহ আশেপাশের জেলাগুলোতে।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম আল বেরুনী জানান, পহেলা মে রাত ১০টায় আধাঘণ্টার ঝড়ে আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ জাতীয় গ্রিড লাইনের ভৈরব উপজেলার কালিপুর গ্রামের মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাওয়ারটি ভেঙে যায় এবং আশুগঞ্জ উপজেলার চরসোনারামপুরের অপর একটি টাওয়ারের ক্রসআর্ম ভেঙে গ্রিড লাইনের তার মেঘনা নদীতে পড়ে যায়। দীর্ঘ পাঁচ মাস পর মঙ্গলবার রাতে বিধ্বস্ত টাওয়ার দু’টি মেরামত শেষ হয়। এরপর একটি সার্কিট দিয়ে ওই গ্রিড লাইন দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়। ওই লাইন দিয়ে আশুগঞ্জ থেকে বর্তমানে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। পহেলা অক্টোবর অপর সার্কিটটি চালু হলে আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ জাতীয় গ্রিড লাইন দিয়ে ২৫০ থেকে ৩০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, দু’টি টাওয়ার বিধ্বস্ত হওয়ায় পহেলা মে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি থেকে আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ জাতীয় গ্রিড লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি বিদ্যুৎ ইউনিটগুলোতে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস করা হয়। এ পাঁচ মাস বিকল্প ব্যবস্থায় আশুগঞ্জ-ঘোড়াশাল-ঈশ্বরদী গ্রিড লাইন দিয়ে সিরাজগঞ্জসহ আশেপাশের জেলাগুলোতে আংশিক বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৭
এসআই