ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইনটির মোট দৈর্ঘ্য হবে ৩০ কিলোমিটার। এটি হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিতীয় সঞ্চালন লাইন।
প্রস্তাবিত ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইন নির্মাণ প্রকল্পটি এখন অনুমোদনের অপেক্ষায়। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে। একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
মোট ১০টি প্রকল্প চূড়ান্ত করে একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তালিকার সাত নম্বরে আছে এই প্রকল্প।
পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের যুগ্মপ্রধান (বিদ্যুৎ) কাজী জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, ভারত থেকে বর্তমানে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। আরও ৫০০ মেগাওয়াট আগামীতে আসবে। বাড়তি এই ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পথ সুগম ও নিরাপদ করতে আরও একটি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইন নির্মিত হবে। এই লক্ষেই প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে প্রকল্পটি।
সঞ্চালন লাইনটি বাস্তবায়নকারী সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) লিমিটেড। এতে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অক্টোবর ২০১৭ থেকে জুন ২০১৯ মেয়াদে এটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে। এর পরেই বাড়তি ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হবে। দুটি সঞ্চালন লাইন দিয়ে বহরমপুর থেকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা হয়ে বাংলাদেশে মোট বিদ্যুৎ আসবে ১০০০ মেগাওয়াট।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
এমআইএস/জেএম