শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে দুই দিনব্যাপী ‘সেক্টর লিডার’স ওয়ার্কশপ’ এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ ওয়ার্কশপের আয়োজন করে বিদ্যুৎ বিভাগ।
তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বিদ্যুতের দাম পুনর্নিধারণ করেছে। সরকার শুধুমাত্র প্রস্তাব দিয়েছে তারা দাম বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, দাম বাড়ানোর পরেও সরকারকে বিদ্যুৎখাতে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। আর সামান্য এ মূল্য বৃদ্ধিকে জনগণ মেনে নেবে। তবে নিন্দুকেরা এর সমালোচনা করবে।
বর্তমানে বাংলাদেশের ৮৪ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে বলেও জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তেলের দাম সমন্বয় করার ক্ষেত্রে সরকার মধ্যপন্থা অবলম্বন করছে। আন্তর্জাতিক বাজারে যখন তেলের দাম বাড়ে তখন সরকার সে অনুযায়ী বাড়ায় না। এখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমছে সরকার একই হারে কমাচ্ছে না।
এ সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, যে কোনো জিনিসের মূল্য সমন্বয়ের প্রভাব পড়ে। বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধিতে যে প্রভাব পড়বে তা জনগণের সাধ্যের মধ্যে। বিদ্যুতের যে মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে তাতে জনগণের ওপর খুব একটা প্রভাব পড়বে না। বিদ্যুতের নতুন মূল্য আগামী এক বছর স্থিতিশীল থাকবে।
তিনি বলেন, কোম্পানিগুলো বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলো। এখন ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরী, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব উল আলম।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৭/আপডেট ১২২০ ঘণ্টা
এমইউএম/বিএস