সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ব্যয়ের বিদ্যুৎ প্রকল্প হচ্ছে রূপপুর পরমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এখানকার দুই ইউনিট থেকে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানায়, এ কেন্দ্রটি নির্মাণে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে। এর মধ্যে রাশিয়া দিচ্ছে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা, বাকিটা দেবে সরকার।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের কাজ শেষ হবে। এরপরই উৎপাদনে যাবে ইউনিটটি, সেখান থেকে উৎপাদিত হবে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
উৎপাদিত এ বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা হবে। মোট ৬৬৯ কিলোমিটার লাইনের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার হবে ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইন।
লাইনটি রূপপুর থেকে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার বাঘবাড়ি পর্যন্ত স্থাপন করা হবে। এছাড়া ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা হবে ৬০৯ কিলোমিটার।
৪০০ কেভির দীর্ঘ লাইনটি দেশের অন্যান্য এলাকাতেও যাবে। প্রয়োজন অনুযায়ী, রূপপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত ১৫৪ কিলোমিটার, আমিনবাজার থেকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা পর্যন্ত ৫১ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা হবে।
এছাড়া রূপপুর থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত ১৫০ কিলোমিটার, বগুড়া পর্যন্ত ১০২ এবং মানিকগঞ্জের ধামরাই পর্যন্ত ১৫২ কিলোমিটার ৪০০ কেভি সঞ্চালণ লাইন নির্মিত হবে। এসব লাইন স্থাপনে ১১ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ের পরিকল্পনা করছে সরকার।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পারমাণবিক বিদ্যুৎ) ইতি রাণী পোদ্দার বাংলানিউজকে বলেন, প্রথম ইউনিটে উৎপাদন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সঞ্চালন লাইনগুলো স্থাপন করা হবে। এ কাজও শেষ হবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই।
উৎপাদিত এ বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে এসব সঞ্চালন লাইন স্থাপনের কাজও দ্রুত শুরু হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮
এমআইএস/এমএ