সংসদ ভবন থেকে: গত তিন অর্থ-বছরে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ক্ষতির পরিমাণ দেড়শ’ কোটি টাকার বেশি বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুল হক।
রোববার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরপর্বে নাছিমুল আলম চৌধুরীল প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, গত তিন অর্থ-বছরে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ক্ষতির পরিমাণ একশ’ ৬৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। তবে একই সময়ে ডিপিডিসি, ডেসকো এবং ওজোপাডিকোর লাভ হয়েছে দুশ আট কোটি ৬০ লাখ টাকা।
এবিএম আশরফ উদ্দিন নিজানের প্রশ্নের জবাবে এনামুল হক জানান, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে থেকে বিদ্যুৎ কিনতে ২০১০-১১ অর্থ-বছরে সরকারের তিন হাজার ২৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা এবং ২০১১-১২ অর্থ-বছরে আগস্ট পর্যন্ন এক হাজার দুশ ৩৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে।
জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের পার্বত্য এলাকার খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানে চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সিনোপ্যাক প্রস্তাব দাখিল করেছে।
এ প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে যৌথ সহযোগিতা চুক্তির ভিত্তিতে বাপেক্স পাহাড়ি এলাকার চারটি ভূ-গঠনে খনিজ অনুসন্ধানের পরিকল্পনা নিয়েছে।
মো. ফজলুল আজিমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন গ্যাস ফিল্ড থেকে দৈনিক দুই হাজার ২০ থেকে দুই হাজার ৪৯ মিলিয়ণ ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।
সালমা ইসলামের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী দাবি করেন, সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে বর্তমানে দেশের গ্যাস সেক্টরে কারিগরী ব্যতীত অন্য কোনও সিস্টেম লস নেই।
মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে এনামুল বলেন, ‘তিন হাজার ছয়শ ৬৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বর্তমানে নির্মাণাধীন রয়েছে। ’
ফরিদা আখতারের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইন নির্মাণ অত্যন্ত ব্যয়বহুল। দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রতি জেলায় গ্যাস সরবারহ করতে যে পাইপ লাইন দরকার তার ব্যয় মিটানোর জন্য সরকার উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার উপর নির্ভরশীল। কবে নাগাদ এই অর্থের সংস্থান হতে পারে তা নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। ’
মেহের আফরোজ শাওনের প্রশ্নের জবাবে এনামুল হক বলেন, ‘গ্যাসের দৈনিক উৎপাদন ২ দুই হাজার দুশ মিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলন না হওয়া পর্যন্ত রাজধানীর বাসাবাড়ীতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখার সরকারি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ’
সাধনা হালদারের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের দক্ষিণ-পঞ্চিমাঞ্চলের গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্যে নেওয়া প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। ডিপিপি অনুযায়ী পাঁচটি জেলা হলো-কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, যশোর, খুলনাও বাগেরহাট।
এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে এনামুল জানান, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৫টি গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে।
মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের অভ্যন্তরে মোট আটটি গ্যাস স্ট্রাকচার আবিষ্কৃত হয়েছে।
এগুলো হলো-সুন্দলপুর, সুনেত্র, রূপগঞ্জ, বাজিতপুর, মদন, খালিয়াঝুড়ি, কাপাসিয়া ও মোবারকপুর।
সুন্দলপুর থেকে বর্তমানে দৈনিক ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০. ২০১১