রোববার (২৩ জুন) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) এ প্রকল্পের পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।
ডিএনসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে প্রায় ৮২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সরকার।
মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের আওতায় ৬৮ হাজার ২০০ বর্গমিটার জমিতে দৈনিক ৫০০ মেট্টিক টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন তিনটি প্ল্যান্ট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যার মাধ্যমে বর্জ্য পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।
এছাড়া ১৩ হাজার ৬০০ বর্গমিটার জমিতে মেডিকেল বর্জ্য ও ১৬ হাজার বর্গমিটার জমিতে বর্জ্য রিসাইকেল ফ্যাসিলিটিজ স্থাপনের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, শুধু ইনসিনারেশন চালু হলে এক বছরের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ল্যান্ডফিলের লাইফ তিন গুণ বাড়ানো যাবে। বিদ্যমান আমিনবাজার ল্যান্ডফিলের যে ধারণক্ষমতা সেখানে আর দুই বছর পর্যন্ত বর্জ্য ফেলা সম্ভব। এ কারণে নতুন ল্যান্ডফিল নির্মাণ, ইনসিনারেশন প্ল্যান্ট বসানো, রিসোর্স রিকভারির জন্য অবকাঠামোর সুযোগ স্থাপন, মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও কম্পোস্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে ‘আমিনবাজার ল্যান্ডফিল সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকীরণের মাধ্যমে ভূমির উপর চাপ কমাতে পরিবেশবান্ধব ও মানসম্মত উপায়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে বলে জানান মন্ত্রী।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ মন্ত্রণালয় ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
এমআইএইচ/আরবি/