তিনি বলেছেন, যত্রতত্র ও অনুমোদন ছাড়া গড়ে ওঠা শিল্প-কারখানার বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের লাইন কেটে দেওয়া হবে। তবে যারা কারখানা স্থাপন করে ফেলেছেন তারা ধীরে ধীরে বুঝতে পারবেন আমাদের এসব সংযোগ দিতে সমস্যা হচ্ছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জেলা প্রশাসসক সম্মেলনে এক অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, জেলা প্রশাসকেরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার নিয়ে একটু সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কারণ নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয়ের জন্য এমনটা হচ্ছে। আমরা এটা দেখবো।
অর্থনৈতিক জোনে কী শিল্প তৈরি করা যাবে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক জোন বা বিসিক শিল্প এলাকা রয়েছে চাইলে সেখানে পরিকল্পিতভাবে শিল্প কারখানা তৈরি করতে পারেন। তবে সরকার অনুমোদিত শিল্প কারখানা ছাড়া কোথাও বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ দেওয়া যাবে না।
নসরুল হামিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী গতকাল (রোববার) জেলা প্রশাসকদের অনুশাসন দিয়েছেন যত্রতত্র শিল্প এলাকা করা যাবে না। আজকে আমরা জেলা প্রশাসকদের বলে দিয়েছি- কেবলমাত্র পরিকল্পিত শিল্প এলাকা ছাড়া বিদ্যুৎ ও গ্যাসলাইন সংযোগ দেবো না, এটা স্পষ্ট।
‘তবে এখন থেকে যারা শিল্প কারখানা করতে চাচ্ছেন, করতে যাবেন বা করে ফেলেছেন তাদেরও নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। ’
বিদ্যুতের বকেয়া বিল নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারি অফিসগুলোতে বিদ্যুতের বকেয়া বিল প্রায় এক হাজার ৪০০ কোটি টাকার বেশি। পাশাপাশি গ্যাসের বিলও রয়ে গেছে অনেক।
‘তেল, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সবমিলিয়ে প্রায় ৮/৯ হাজার কোটি টাকা হবে। এখানে নির্দেশনা আছে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন- যারা বিদ্যুৎ গ্যাসের বিল দেবে না তাদের লাইন কেটে দেওয়া হবে। ’
বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে নীতিমালা হচ্ছে। আমরা বলছি এ বিষয়ে অতি শিগগির একটি নীতিমালা তৈরি করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৯
জিসিজি/এমএ