তিনি বলেন, বিস্ফোরক বা ধাহ্য পদার্থ মজুদ, ব্যবহার বা পরিবহন সংক্রান্ত শিষ্ঠাচার অংশীজনদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। পরিদপ্তর ও অংশীজনদেরে যৌথ উদ্যোগে সাধারণ জনগণ ও ব্যবহারকারীদের সচেতন করতে নিয়মিত আলোচনা সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, টক শো আয়োজন করা যেতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী রোববার (১০ মে) তার বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত বিস্ফোরক পরিদপ্তর, ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর, হাইড্রোকার্বন ইউনিট ও খনিজসম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর কার্যক্রম ও অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় একথা বলেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে সমন্বয় করে বিস্ফোরক পরিদপ্তরকে আধুনিক করা প্রয়োজন। প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন অধিক লোকবল নিয়োগ দেওয়া উচিত।
জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের বিদ্যমান প্রকল্প ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনাকালে বলেন, প্যারালালি প্রতিটি কাজ করে দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
লৌহ খনির সঠিক অবস্থা নির্ণয়ের সঙ্গে সঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক কিনা সে বিষয়েও প্রয়োজনীয় ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করার নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় হাইড্রোকার্বন ইউনিটের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনাকালে তিনি বলেন, হাইড্রোকার্বন ইউনিটকে আমরা জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের পেট্টোলিয়াম ও মিনারেল খাতের থিংক ট্যাংক হিসেবে দেখতে চাই। নতুন কোনো বিষয় বা নতুন কোনো ধারণা বা অ-প্রথাসিদ্ধ জ্বালানির ব্যবহার বা ভবিষ্যৎ জ্বালানি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি গবেষণা করবে। মানবসম্পদ উন্নয়নেও হাইড্রোকার্বন ইউনিট দায়িত্ব নিতে পারে।
এসময় তিনি খনিজসম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোকে মন্ত্রণালয় ও জেলা পর্যায় আরও সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন।
ভার্চুয়াল এ সভায় এসময় অন্যদের মধ্যে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান, খনিজসম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. জাফর উল্লাহ, হাইড্রোকার্বন ইউনিটের মহাপরিচালক এএসএম মঞ্জুরুল কাদের, ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২০
এমআইএইচ/এএ