ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

পেট্রোল-অকটেন বেশি দামে বিক্রি করলে ব্যবস্থা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২১
পেট্রোল-অকটেন বেশি দামে বিক্রি করলে ব্যবস্থা

ঢাকা: দেশে পেট্রোল ও অকটেনের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই দুই তরল জ্বালানি বেশি দামে বিক্রি করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘পেট্রোল-অকটেন সংকট নিয়ে গুজব’ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়র উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক ব্যাখ্যায় এ তথ্য জানানো হয়।

জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) অধীন বিপণন কোম্পানির মাধ্যমে সারা দেশে নিরবচ্ছিন্নভাবে জ্বালানি তেলের সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে দেশে অকটেন ও পেট্রোলের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। গত ৯ নভেম্বর অকটেন ও পেট্রোলের মোট মজুদ ছিল ৫৫ হাজার ৮০০ মেট্রিক টনের বেশি। তবুও প্রতি বছরের মতো এ বছরও চাহিদানুযায়ী বিপিসির আমদানি পরিকল্পনা/আমদানিসূচি অনুযায়ী নভেম্বর মাসে একটি পার্সেলে প্রায় ১৯ হাজার মেট্রিক টন অকটেন ইতোমধ্যে আমদানি করা হয়েছে এবং অপর একটি পার্সেলে ২০ হাজার মেট্রিক টনের অধিক অকটেন আমদানি করা হচ্ছে। পাশাপাশি, ডিসেম্বর মাসে ৬৫ হাজার মেট্রিক টনের অধিক অকটেন আমদানির আমদানিসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

অন্যদিকে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড এবং জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশীয় প্ল্যান্টসমূহে অকটেন ও পেট্রোল উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে, যা জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহকে আরও সুসংহত করবে।

দেশীয় উৎপাদন দিয়ে পেট্রোলের সম্পূর্ণ চাহিদা পূরণ করা হয়ে থাকে উল্লেখ করে জ্বালানি মন্ত্রণালয় তাদের ব্যাখ্যায় জানায়, দেশে অকটেন ও পেট্রোলের স্বাভাবিক গড় মাসিক চাহিদা যথাক্রমে প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন এবং ৩৩ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমান মজুদ, আমদানি পরিকল্পনা এবং দেশীয় উৎপাদন দিয়ে এই চাহিদা সহজেই পূরণ করা সম্ভব।

‘প্রান্তিক বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে’ এবং ‘অনেক ফিলিং স্টেশনে গিয়ে বাধ্য হয়ে বেশি দামে পেট্রোল ও অকটেন কিনতে হচ্ছে’–এই সব বক্তব্য ভিত্তিহীন।

জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানায়, সরকার নির্ধারিত মূল্যের (ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে অকটেন প্রতি লিটার ৮৯ টাকা এবং পেট্রোল প্রতি লিটার ৮৬ টাকা) অতিরিক্ত মূল্যে কোনো পেট্রোল পাম্প জ্বালানি তেল বিক্রি করতে পারবে না। কেউ জ্বালানি তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে বা সরকার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দামে বিক্রি করলে সেই ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২১
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।