ঢাকা: মিশরের এল-দাবা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট নির্মাণের প্রয়োজনীয় অনুমতি দিয়েছে ইজিপশিয়ান নিউক্লিয়ার অ্যান্ড রেডিওলজিক্যাল রেগুলেটরি অথোরিটি (ইএনআরআএ)। মূল নির্মাণ কাজ শুরুর আগে শর্ত হচ্ছে এ নির্মাণ পারমিট।
সোমবার (রোসাটম) থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মিশরের পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. আমজেদ এল-ওয়াকিল তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমাদের ৭০ বছরের স্বপ্ন আজকে বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং আমরা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকারী দেশগুলোর সারিতে মিশরের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখতে পেরেছি।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশনের (রোসাটম) মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রথম ইউনিটকে প্রদত্ত নির্মাণ পারমিট একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এবং এটি মিশরের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ কাজ পুরোদমে শুরুর দ্বার উম্মোচন করলো। ৩+ প্রজন্মের ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টরের ওপর ভিত্তি করে রোসাটম একটি নির্ভরযোগ্য স্টেট-অব-দা-আর্ট এনপিপি নির্মাণ করবে। এই রিয়্যাক্টরগুলো বর্তমানে রাশিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে এবং বিশ্বের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম। আফ্রিকা মহাদেশে এল-দাবা এনপিপি হবে ৩+ প্রজন্মের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এটি এতদ্বঞ্চলে দেশটির প্রযুক্তিগত নেতৃত্ব নিশ্চিত করবে।
রোসাটম প্রকৌশল বিভাগের এনপিপি নির্মাণ প্রকল্প ব্যবস্থাপনার সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার করচাগিন বলেন, লাইসেন্স ডকুমেন্ট তৈরি করতে আমাদের অভাবনীয় পরিশ্রম করতে হয়েছে এবং এর ফলেই আজকে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাওয়া সম্ভব হলো। আমাদের পরবর্তী উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম হলো প্রথম কংক্রিট ঢালাই, যার মাধ্যমেই মূলত প্রকল্পের স্বক্রিয় ধাপের কাজ শুরু হবে।
দ্বিপাক্ষিক চুক্তির শিডিউল অনুযায়ী রোসাটমের প্রকৌশল বিভাগ ২০২১ সালে এল-দাবা এনপিপি’র নির্মাণ পারমিটের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট হস্তান্তর করে।
কায়রোর ৩০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলের এল-দাবা শহরে নির্মীত হচ্ছে মিশরের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে চারটি ইউনিট স্থাপন করা হবে এবং প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১ হাজার ২০০ মেগা-ওয়াট।
২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর কার্যকরী চুক্তি প্যাকেজের আওতায় মিশরে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে রাশিয়া। চুক্তি অনুযায়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ছাড়াও রাশিয়া এটির পূরো লাইফ সাইকেলের জন্য প্রয়োজনীয় পারমাণবিক জ্বালানির সরবরাহ, মিশরকে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে সহায়তা এবং প্রকল্পটির অপারেশনের প্রথম ১০ বছর প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সেবা দেবে। আলাদা একটি চুক্তির অধীনে রাশিয়া মিশরকে স্পেন্ট ফুয়েলের জন্য একটি বিশেষ সংরক্ষণাগার নির্মাণ এবং প্রয়োজনীয় কন্টেইনার সরবরাহ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২২
এসকে/আরআইএস