ঢাকা: বৃহস্পতিবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসছে। ওইদিন বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) কার্যালয়ে এ ঘোষণা দেওয়া হবে বলে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন কমিশন সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ।
এর আগে সোমবার সেলিম মাহমুদ মঙ্গল অথবা বুধবারে এ নিয়ে ঘোষণা দেওয়ার বিষয়ে আভাস দিয়েছিলেন। কমিশন সদস্য প্রকৌশলী ইমদাদুল হক বাংলানিউজকে জানান, `তেলের দাম বাড়ার কারণে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) দাম বাড়ানোর এ প্রস্তাব দিয়েছে। তাদের জ্বালানি খরচ (ফুয়েল কস্ট) হিসেব করেই দাম বাড়ানো হচ্ছে। `
এ বিষয়ে ১৯ মার্চ গণশুনানির দিনে বিইআরসি’র চেয়ারম্যান সৈয়দ ইউসুফ হোসেন জানিয়েছিলেন, বিতরণ সংস্থাগুলোর জন্য বিদ্যুতের পাইকারি দাম বাড়ানোর ঘোষণা আগামী সপ্তাহে (এ সপ্তাহে) আসতে পারে। একই সঙ্গে গ্রাহক পর্যায়ে অন্তবর্তীকালীন ৫ শতাংশ দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন তিনি।
১৯ মার্চ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) হলকক্ষে এ সংক্রান্ত গণশুনানি শেষে সৈয়দ ইউসুফ হোসেন এ কথা জানান। পাইকারি বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটে সর্বোচ্চ ৩১ পয়সা করে বাড়তে পারে বলেও তিনি ইঙ্গিত দেন।
শুনানিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) পাইকারি (বাল্ক) বিদ্যুতের দাম প্রায় ১১ শতাংশ সমান ইউনিট প্রতি ৪১ পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। এ প্রস্তাবের পর বিইআরসি’র মূল্যায়ন কমিটি ২২ পয়সা দাম বাড়ানোর সুপারিশ করে। বর্তমানে বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য ইউনিট প্রতি ৩ টাকা ৭৪ পয়সা।
পিডিবি’র প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ২০১১-১২ অর্থবছরে কম দামে বিদ্যুৎ বিক্রি করায় ৩ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা ঘাটতি হয়।
এছাড়া ২০১১ সালের ২৯ ডিসেম্বর জ্বালানি তেলের দাম লিটার প্রতি ৫ টাকা বাড়ানো হয়। গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ১৩৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা ঘাটতি হয়।
এর আগে ২৪ নভেম্বর এক ঘোষণায় দাম বাড়িয়ে ডিসেম্বর থেকে গড়ে ৩ দশমিক ২৭ টাকা ও ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ দশমিক ৭৪ টাকা করা হয়।
শুনানি ছাড়াই গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে বিইআরসি। বর্তমান সরকারের গত বছর পাইকারি দাম বাড়নোর সঙ্গে গ্রাহক পর্যায়ে অন্তবর্তীকালীন দাম বাড়িয়েছিলো বিইআরসি।
বাংলাদেশ সময় : ২২১০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১২
ইএস.
সম্পাদনা : সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর;
জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর।