ঢাকা: সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৫২ জন প্রবাসী ও ৩৯ জন সিআইপিকে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড প্রবাসীদের সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। এতে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য। প্রবাসীদের এই সম্মানে সম্মানিত করায় আগামীতে বিদেশ থেকে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো বাড়বে।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতেে দুবাইয়ে প্রবাসীদের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেওয়ার সময় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ইউএইতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ কনস্যুলেটের প্রথম সচিব (শ্রম) ফকির মনোয়ার হোসেন।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৫২ জন প্রবাসী ও ৩৯ জন সিআইপিকে এ বছর রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, দুবাই। রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের আমরা সম্মানিত করছি। এই সম্মানে সম্মানিত হয়ে ভবিষ্যতে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়বে।
তিনি বলেন, প্রবাসীদের কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স যাতে বৈধ পথে দেশে পাঠানো হয় সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠালে দেশের অর্থনীতি লাভবান হবে, দেশ এগিয়ে যাবে। ইউএইতে প্রবাসীদের জন্মনিবন্ধন, পাসপোর্ট সংশোধসহ বিভিন্ন প্রস্তাবনার বিপরীতে মন্ত্রী বলেন, সেবা সহজীকরণে শিগগিরই বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। আর রমজানের আগে অনুষ্ঠিতব্য দুই দেশের বৈঠকেও অন্যান্য বিষয় আলোচনা হবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত সার্বজনীন পেনশন স্কিমে প্রবাসীরাও অন্তর্ভুক্ত হবেন। তাই যথাসময়ে সেই সুবিধা গ্রহণে তারাও লাভবান হবেন।
রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর বলেন, স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোকে দেশে বিনিয়োগের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরও বিনিয়োগে আগ্রহী করতে হবে।
এই সম্মানের মাধ্যমে বিদেশ থেকে বৈধ পথে আরও বেশি রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীরা উৎসাহিত হবেন বলে সিআইপির এক প্রতিনিধি জানান।
বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন বলেন, রেমিটেন্স প্রেরণকারী কর্মী ও প্রবাসীদের সম্মাননা দেওয়ার এই ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ কনস্যুলেটের, মিনিস্টার (শ্রম) ফাতেমা জাহান জানান, অনুষ্ঠানে রেমিট্যান্স প্রসঙ্গ ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে প্রবাসীদের মরদেহ দেশে পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। গত চার বছরে বিভিন্ন নিয়োগকারী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান থেকে ৬৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় হয়েছে।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন সিআইপি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহতাবুর রহমান নাসির ও উদ্যোক্তা নাহিদা নিপা।
গত আগস্টে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত। যেসব ক্যাটাগরিতে পুরুষ্কার দেওয়া হয়েছে সগুলো হলো ক্যাটাগরি: ১ সাধারণ কর্মী-১ ( যাদের বেতন ১২০০ দিরহামের নিচে)- ১০টি পুরস্কার-(১টি উত্তরীয়, ১টি ক্রেষ্ট, সনদ এবং ১টি মোবাইল)। ক্যাটাগরি: ২, সাধারণ কর্মী-২ (যাদের মাসিক বেতন ১২০০ দিরহামের বেশি)। ১১টি পুরষ্কার (১টি উত্তরীয়, ১টি ক্রেষ্ট ও সনদ)। ক্যাটাগরি:৩ ব্যবসায়ী (পুরুষ) ১৩টি পুরষ্কার (১টি উত্তরীয়, ১ ক্রেষ্ট ও সনদ)। ক্যাটাগরি-: ৪ ব্যবসায়ি (নারী) ৫টি পুরষ্কার (১টি উত্তরীয়, ১ ক্রেষ্ট ও সনদ)। ক্যাটাগরি: ৫ পেশাজীবী, ১৩ টি পুরষ্কার (১ উত্তরীয়, ১ ক্রেষ্ট ও সনদ)
একই সঙ্গে ২০১৯ ও ২০২০ সালে বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী ৩৯ জন সিআইপিকেও এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮,২০২৩
জিসিজি/এমএমজেড