ইতালি: পবিত্র রমজান মাসে ইতালিতে বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া থেকে আমদানি করা পণ্যের দাম বেশ ঊর্ধ্বমুখী। যদিও স্থানীয় প্রবাসী বাঙালিরা মনে করছেন সম্প্রতি শুরু হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য বাজার দরের এ অবস্থা।
তবে এখন পর্যন্ত কিছুটা হাতের নাগালের মধ্যেই রয়েছে ইতালির অভ্যন্তরীণ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। আর সামনে যদি দাম আরও বাড়ে তাহলে জীবনযাত্রার মানে বেশ চাপ সামলাতে হবে বলে করছেন প্রবাসীরা।
বিভিন্ন প্রবাসী বাংলাদেশি মালিকানাধীন দোকানগুলোতে দিয়ে জানা গেছে যে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের দাম কিছুটা বেড়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে চাল, আলু, পেঁয়াজ ও ভোজ্যতেলের দাম।
আগে যেখানে পেঁয়াজ ও আলুর প্রতি পাঁচ কেজির বস্তার খুচরা বিক্রিমূল্য ছিল ৩ ইউরো, বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে সাড়ে ৫ ইউরো। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর প্রথমদিকে ইতালিতে হঠাৎ করেই ভোজ্যতেলের দাম প্রতি কেজিতে তিনগুণ বেড়ে গেলেও বর্তমানে কিছুটা কমেছে। আর চালের দাম বেড়েছে প্রতি বস্তায় প্রায় ৫ থেকে ৭ ইউরো।
এ ব্যাপারে ইতালি প্রবাসী রুহুল হোসাইন বলেন, পণ্যের দাম দিন দিন বাড়ছে। এখন পর্যন্ত মোটামুটি চলা যায়। তবে এভাবে বাড়তে থাকলে হাতের নাগালের বাইরে চলে যাবে এসব জিনিসপত্রের দাম।
আবার একই বিষয়ে পাইকারি ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা মনে করছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে আমদানি খরচ। আর তাই আমদানি করা পণ্যের দাম বাড়তি।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২৩
এসআরএস