ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

জার্মানিতে লালসবুজের পতাকায় ১২৮তম ম্যারাথনে শিব শংকর

অতিথি করেসপন্ডেন্ট, জার্মানি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৪
জার্মানিতে লালসবুজের পতাকায় ১২৮তম ম্যারাথনে শিব শংকর শিব শংকর পাল ও ভাগনে সুমিত পাল (বামে)

রোববার ২১ এপ্রিল জার্মানির জাকসেন অঙ্গরাজ্যের ঐতিহাসিক শহর লাইপজিগে অনুষ্ঠিত হলো ৪৬তম দূরপাল্লার আন্তর্জাতিক ম্যারাথন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৯ হাজারের বেশি প্রতিযোগীর সাথে দূরপাল্লার দৌড়ে দেশের পতাকা হাতে অংশ নেন শিব শংকর পাল।

তিনি এখন পর্যন্ত দেশের হয়ে ব্যক্তিগত ১২৮তম আন্তর্জাতিক ম্যারাথনে অংশ নেওয়া ক্রীড়াবিদ।  

স্থানীয় সময় সকালে প্রচণ্ড ঠান্ডাকে জয় করে নগরীর স্পোর্টফোরাম থেকে শুরু হওয়া ৪২.১৯৫ কি. মি. দূরত্বের এই ম্যারাথন প্রথমেই নতুন রাথহাউস বা পৌরসভা তারপর আগুস্টিন প্লাট্স, অপেরা হাউস, বিখ্যাত গ্রাসি জাদুঘর, লাইপজিগ আউটোমাইল, ইউনিভার্সিটি ক্লিনিক হয়ে রিভারবোট লাইপজিগসহ শহরের নানা দর্শনীয় স্থান ঘুরে আবারো সেই স্পোর্টফোরামে এসে শেষ হয়। ঐতিহাসিক এই দৌড় শেষ করতে বাংলাদেশি এই ক্রীড়াবিদ ফিনিশিং লাইন শেষ করেন ৩ ঘণ্টা ৪৯ মিনিটে। এই ম্যারাথনে দেশের হয়ে আরো এক দৌড়বিদ অংশ নেন তিনি শিব শংকরের আপন ভাগিনা সুমিত পাল। এই দৌড় শেষ করতে তিনি অবশ্য সময় নেন মাত্র তিন ঘণ্টা ২০ মিনিট।

জার্মানির মিউনিখে বসবাসরত শিব শংকর পাল, যিনি একমাত্র আন্তর্জাতিক দৌড়বিদ হিসেবে বিশ্বব্যাপী ম্যারাথনে অংশ নিচ্ছেন বছরের পর বছর ধরে সেই শিব শংকরকে বরাবরের মতই উৎসাহ দিতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন শংকরের সহধর্মিণী শিখা শংকর পাল ও তার দুই ছেলে ও একমাত্র মেয়েসহ স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিরা। অন্য সব ম্যারাথনেও দেশের পতাকা হাতে ফিনিশিং লাইন শেষ করতে পেরে খুশী ৫৯ বছর বয়সী শিব শংকর।

ঝড় বৃষ্টি আর বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে এই ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে ২ ঘণ্টা ২৮ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডে সবার আগে দৌড় শেষ করেন নিক ইহলভ আর নারীদের মধ্যে লাইপজিগেরই আন্টোনিয়া মুইলার। তিনি সময় নেন ২ ঘণ্টা ৫৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ড।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৪
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।