ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

এথেন্স থেকে জাহিদুর রহমান

গ্রিক নারীর বাংলাদেশ প্রেম

জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৬
 গ্রিক নারীর বাংলাদেশ প্রেম ছবি - বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

এথেন্স, গ্রিস থেকে: বাংলাদেশের ছেলে আর গ্রিক নারী। দু’জনে মিলে গ্রিক সভ্যতার দেশে রচনা করেছেন নতুন এক ভালোবাসার নিদর্শন।


যে প্রেম কাহিনী গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে কান পাতলেই শোনা যায় প্রবাসীদের মুখে মুখে।

গ্রিসের মারিয়া সিক্রিনিদিস আর বাংলাদেশের প্রকৌশলী ড. জয়নুল আবেদীন। দু’জনে মিলে প্রবাসে রচনা করেছেন ভালোবাসার অনন্য এক স্বর্গ।

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার সুকিপুর গ্রামের কৃষক মৃত আফাজ উদ্দিন আহমেদের ছেলে প্রকৌশলী ড. জয়নুল আবেদীন। দুই ভাই চার বোনের মধ্য ছিলেন সবার বড়।

১৯৭৫ সালে সরকারি বৃত্তি নিয়ে চলে যান সোভিয়েত ইউনিয়নে। বর্তমান উজবেকিস্তানের তাশখন্দ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে উচ্চশিক্ষা শেষে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেন পিএইচডি ডিগ্রি।

অপর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইব্রেরি সায়েন্সে গ্রিস থেকে পড়তে যান মারিয়া সিক্রিনিদিস। সে দিন সুন্দরী মারিয়া সিক্রিনিদিসের প্রেমে পড়ে যান প্রকৌশলী ড. জয়নুল আবেদীন।

বেশ সাহসের সঙ্গে রুশ ভাষায় ভালোবাসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মি. আবেদীন। ‘লুবলু তিবিএ’ অর্থাৎ তোমাকে ভালোবাসি। আজও সেই কথা মনে রেখেছেন দু’জনেই।

আবেদীনের সততা, মেধা আর সত্যিকারের ভালোবাসা ফিরিয়ে দেননি সিক্রিনিদিস।

তারপর মন দেয়া-নেয়ার পালায় বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ১৯৮১ সালে। সেই থেকেই প্রকৌশলী ড. জয়নুল আবেদীনের সংসার আগলে রেখেছেন মারিয়া। তার পরিচয় মারিয়া আবেদীন।

এই দম্পতির দু’টি সন্তান। বড় ছেলে প্রেট্রিক আবেদিন (২৯) কম্পিউটার সায়েন্সে পড়াশোনা শেষে পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী। মেয়ে হেলেন আবেদীন (২৫) এমবিএ শেষে চাকরি করছেন একটি বেসরকারি সংস্থায়।


ইউরোপের আরেক দেশ জার্মানিতে কেবল নাগরিকত্বের জন্য চুক্তিতে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয় অনেক বাংলাদেশিকে। গুনতে হয় বেশ মোটা অংকের অর্থ। কিন্তু গ্রিসে এই দম্পত্তির সফলতা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে অনেকের কাছেই।

মারিয়া আবেদীন বাংলানিউজকে জানান, জয়নুল আবেদীনের সততা আর মানবিকতাবোধ আমাকে আকৃষ্ট করেছিলো। এতোদিনে একটুও বদলায়নি। বাংলাও বলেন বেশ শুদ্ধভাবে। বোঝেনও বেশ।

জানান, বাংলাদেশ চমৎকার একটি দেশ। মানুষগুলো সহজ-সরল।


আমি দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর একটানা ঢাকায় ছিলাম। থাকতাম ধানমন্ডির ঝিগাতলায়। সেখানকার মানুষের সঙ্গে মিশে নিবিড়ভাবে পরিচিত হয়েছি দেশটির শিল্প সংস্কৃতি, ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সঙ্গে।


শেষে একটু গ্রিস ভাষায় বলেন, ‘সাগাপো বাংলাদেশ। ’ মানে ভালোবাসি বাংলাদেশকে।


বাংলাদেশ সময়: ০২১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৬
এএ
 

** উত্তরগুলো কেবল অসহায় চাহনিতেই!
** বিদেশি সতীনেও কষ্ট নেই, আছে সুখ!
** ডিশ ওয়াশার থেকে ২ রেস্টুরেন্টের মালিক আকুল মিয়া
**জার্মানিতে বিয়ে বা দত্তক- এতে যায় কষ্টের বহু অর্থ
**পেট্রোলপাম্পেও নিজের কাজ নিজে করো নীতি
**সততা-একাগ্রতাই এগিয়ে নিয়েছে কাজী সুরুজকে
**‘সেই সংগ্রামই সাফল্যের পথপ্রদর্শক’
** আস্থার সংকটে বাংলাদেশ–জার্মানি সম্পর্ক!
** বিমানবন্দরে বাংলাদেশের হাসি

** নিজেই মুমূর্ষু জার্মানির বাংলাদেশ দূতাবাস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।