ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

নারী-পুরুষ সমতা অর্জনে সব বাধা ভাঙবোই

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৬
নারী-পুরুষ সমতা অর্জনে সব বাধা ভাঙবোই ফোরামে মূল ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সোফিয়া (বুলগেরিয়া) থেকে: উন্নত-সমৃদ্ধ জাতি গঠনে নারী-পুরষের সমতা অর্জনে সব বাধা ভাঙার দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, নারী-পুরুষে সমতা অর্জনে সব বাধা ভাঙতে আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

আমাদের সরকার এ লক্ষ্যে ‘জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি’র মতো একটি যুগান্তকারী ও সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ নিয়েছে। এ নীতি নারীদের সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করছে। এতে নারীর শিক্ষা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক আত্ম-নির্ভরশীলতাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারও দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৮ মে) বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়ায় ‘গ্লোবাল উইমেন লিডার্স ফোরামে’ ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ফোরামের আয়োজন করে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কো এবং উইমেন বিজনেস ফোরাম অব বুলগেরিয়া।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টি আমার হৃদয়ের গভীরে প্রোথিত। লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে ‍আমি এই দৃঢ় প্রত্যয় আমার বাবা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে নিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্ব দেওয়া বঙ্গবন্ধু উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন, যেখানে জাতি গঠনে নারীরা পুরুষের সঙ্গে সমানভাবে অবদান রাখবে। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, যদি আমরা নারীদের পিছিয়ে রাখি, তবে আমাদের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না। কারণ এই নারীই যে আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেক।

বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই বাংলাদেশ সরকার সবক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতাকে সর্বাচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের নারী-বান্ধব উন্নয়ন কৌশল সেই ফলও দিচ্ছে। যার স্বীকৃতিও বিশ্ব সম্প্রদায় দিচ্ছে আমাদের।

গতবছর নিউইয়র্কে সরকারের টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা ২০৩০ গ্রহণের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নতুন উন্য়ন এজেন্ডায় লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এখানে রয়েছে আমাদের নারী ও মেয়েদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে বেশ কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রাও।

শেখ হাসিনা বলেন, এই সুযোগ আমাদের লুফে নেওয়া উচিত। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমরা যে উচ্চাকাঙ্ক্ষ‍ী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি, তা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে অর্জন করতে পারবোই।

বিশ্বকে নারীর নিরাপদ আবাস হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, নারী ও মেয়েদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ গড়তে, তাদের শিক্ষা ও সঠিক দক্ষতায় গড়ে তুলতে এবং ক্ষমতায়নের মাধ্যমে তাদের সামাজিক পরিবর্তনের কর্মী বানিয়ে তুলতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আর এটা অর্জনে আমাদের প্রয়োজন আন্তরিক প্রত্যয় ও দক্ষ নেতৃত্ব।

শেখ হাসিনা বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন ও তাদের এগিয়ে নিতে আমি আমার কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা পুনর্ব্যক্ত করছি। এবং আমি আশা করি বিশ্ব নারী নেতৃত্বের অংশীদার হিসেবে তা চালিয়ে যেতে পারবো।

বিশ্ব নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলুন বিশ্বকে সবার জন্য, নারীর জন্য সুন্দর আবাস হিসেবে গড়ে তুলতে আজ আমরা নিজেদের অঙ্গীকার শানিত করি। এমন আবাস গড়ে তোলার অঙ্গীকার করি, যেখানে আমরা নির্ভয়ে মর্যাদা নিয়ে বসবাস করতে পারি। আমরা এটা পারবোই।

অনুষ্ঠানে বর্তমান সরকার নারী উন্নয়নে উচ্চাভিলাষী নারী উন্নয়ন নীতিমালা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ওই নীতিমালায় নারী-পুরুষের সমান সুযোগ সৃষ্টির নিশ্চয়তা বিধান করা হয়েছে। একই সঙ্গে নারী শিক্ষা ও নারীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলায় সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেছি।

‘জাতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে সরকার জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং জাতীয় বাজেটেও নারী উন্নয়নকে সম্পৃক্ত করেছে,’ বলেন তিনি।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের জিডিপি’র শতকরা ২ শতাংশ আমরা নারীর সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যয় করছি। যার সুবিধাভোগী ভাগ্য বঞ্চিত অসহায় দারিদ্র্যের শিকার নারীরা।

নারী শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপের তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকার দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নারী শিক্ষাকে অবৈতনিক করেছে এবং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও অবৈতনিক নারী শিক্ষা চালু করা সরকারের পরিকল্পনাধীন রয়েছে।

‘মাধ্যমিক থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট লেভেল পর্যন্ত দেশের প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন প্রকার মেধাবৃত্তি প্রদানের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে টিফিন প্রদান করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে ঝরেপড়া কমেছে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। ’

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ৬০ ভাগ নারী শিক্ষক দ্বারা পূরণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই কার্যকর পদক্ষেপ এবং ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে প্রাথমিক পর্যায়ে নারীর বিদ্যালয়ে যাবার হার প্রায় শতভাগে উন্নীত হয়েছে এবং লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত হয়েছে।
শিক্ষার পাশাপাশি সরকার মাতৃস্বাস্থ্য এবং পুষ্টির দিকেও নজর দিচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে হাসপাতাল স্থাপনের অংশ হিসেবে আমাদের প্রতিষ্ঠিত প্রায় ১৬ হাজার ৫০০ কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে নারীদের প্রসূতি সেবাও নিশ্চিত করা হয়েছে।

‘একই সঙ্গে সরকার ‘মেটার্নাল হেলথ ভাউচার স্কিম’ চালু করেছে। যার মাধ্যমে গর্ভধারিনী মায়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর মাধ্যমে নিরাপদ সন্তান প্রসব এবং প্রসব পরবর্তী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। ’

নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নেও সরকার ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশই বিশ্বে সম্ভবত একমাত্র দেশ যেখানে সংসদ নেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের উপনেতা, বিরোধী দলীয় নেতা এবং জাতীয় সংসদের স্পিকার একজন নারী।


তিনি বলেন, বর্তমান সংসদে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত ৭০ জন নারী সংসদ সদস্য রয়েছেন। যা মোট সদস্যদের শতকরা ২০ ভাগ। আমরা ২০২০ সাল নাগাদ সব রাজনৈতিক দলের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করেছি।

‘প্রতিটি উপজেলা পরিষদে একজন নির্বাচিত মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যানের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে এবং তৃণমূল পর্যায়ে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে ৩৩ শতাংশ আসন নারীর জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে,’ যোগ করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার নির্বাচিত নারী সদস্য কর্মরত রয়েছেন। এই বাস্তবধর্মী পদক্ষেপের ফলে আমরা সমাজের প্রথাগত মন মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হয়েছি। আগে যেখানে নারীদের সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণকে ভালো চোখে দেখা হতো না।

বর্তমান পরিবর্তিত সামাজিক প্রেক্ষাপটের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন পরিবারের অন্য সদস্যরাও নারীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করে এবং নিজেরাও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হয়।

দেশের বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পেশায় নারীদের সাফল্যজনক অংশগ্রহণের প্রসংগ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমাজের সব পেশার ক্ষেত্রেই নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। বিশেষ করে প্রশাসন, বিচার বিভাগ, সশ্রস্ত্র বাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী এবং বিভিন্ন কারিগরি ক্ষেত্রেও নারীরা উচ্চপদে আসীন রয়েছে।

‘দেশের প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকতায় যুক্ত রয়েছে বহু নারী, খেলাধুলায় বিশেষ করে ক্রিকেট, ফুটবল এমন কি উচ্চপর্বতশৃঙ্গ জয়েও এগিয়ে এসেছে নারীরা। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের নারীরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও কর্মরত রয়েছে। পাশাপাশি নারী কূটনীতিক, বিমানের বৈমানিক, শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জিং পেশায় যুক্ত হওয়ার পাশাপাশি আমাদের নারীরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রবাসী শ্রমিক হিসেবে কর্মরত থেকে দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিরাট ভূমিকা রাখছেন

‘যে কারণে, এদেশের নারীরা সব প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে জাতীয় উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণে সমর্থ হচ্ছে এবং জাতি গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে,’ উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সত্ত্বেও আমাদের সামনে এখনও বড়ো চ্যালেঞ্জ। আমরা এখনও পুরোপুরি কার্যকর অর্থে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, বাল্যবিবাহ কিংবা নারী পাচার বন্ধ করতে পারিনি।

‘সরকার অবশ্য এই সামাজিক দুষ্ট ক্ষত দূর করতে বিভিন্ন কঠোর আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন এবং প্রশাসনিক বিধিবিধান প্রয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ’

তিনি বলেন, আমরা সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এসব অপরাধ এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্বারোপ করছি। এসব ক্ষেত্রে তাঁর সরকার ভিকটিমকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান রেখে আইন প্রণয়ন করেছে।

বাল্যবিবাহ বন্ধে তার সরকারের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আভাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিগগির সম্ভব বাংলাদেশ থেকে এই বাল্যবিবাহ চিরতরে বন্ধে সরকার অঙ্গীকার বদ্ধ।
অনুষ্ঠানে বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্ট রোজেন প্লেভনেলিয়েভ, উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং শ্রম ও সামাজিক নীতিবিষয়ক মন্ত্রী ইভায়লো কালফিন, জ্বালানি মন্ত্রী টামেনুজকা প্যাটকোভা, আঞ্চলিক উন্নয়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী লিলিয়ানা পাভলোভা, ইনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকভা, বুলগেরিয়া জাতীয় পরিষদের চেয়ারম্যান ট্যাসটাসকা টাচেভা এবং সিমেন্স বুলগেরিয়ার সিইও ও দেশটির কাউন্সিল অব উইমেন ইন বিজনেসের চেয়ারপারসন বুরিয়ানা ম্যানোলোভাও বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২১২ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৬, আপডেট: ০১০২ ঘণ্টা
এসএপি/এমইউএম/এইচএ/এমএ

**বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্টকে নিয়ে লিডার্স ফোরামে প্রধানমন্ত্রী
**বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়ায় প্রধানমন্ত্রী
***সোফিয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী
**ফিলিস্তিনিদের রক্তে রাঙানো হাতের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে বিএনপি
**লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
**লন্ডনের পথে প্রধানমন্ত্রী

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।