স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়ে তিন ঘণ্টা চলে।
এবারই প্রথম ভিয়েনা জাতিসংঘ সদর দফতরে দিবসটি পালিত হয়।
অনুষ্ঠানে ভিয়েনা জাতিসংঘ সদর দফতরের বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংস্থার উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি, জাতিসংঘে নিযুক্ত ৫০টি দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিসহ চার শতাধিক অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
সর্বইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও অস্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী-লেখক-সাংবাদিক এম নজরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অস্ট্রিয়া ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার বায়েজিদ মীর, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির, শাহ মো. ফরহাদ, আকতার হোসেন, রুহী দাস সাহা, এমরান হোসেন, বখতিয়ার রানা, রবিন মো. আলী, মোশারফ হোসেন আজাদ, সিরাজ চৌধুরী, নয়ন হোসেন, ইয়াসিম মিয়া বাবু, সাইদ শেখ, সামছুল হুদা চৌধুরীসহ শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশিও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
শুরুতে অস্থায়ী শহীদ মিনারের বেদিতে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।
প্রবাসী বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশুরা বাংলা বর্ণমালা হাতে প্রভাত ফেরির মাধ্যমে অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
বিশ্ব সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মাতৃভাষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্যের ঐক্যকে বাঁচাতে বিশ্বের সব ভাষার সংরক্ষণ ও সুরক্ষা এবং বহুভাষিক শিক্ষা এগিয়ে নেওয়াকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অন্যতম বাহন হিসেবে গ্রহণের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত আবু জাফর বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত তুলে ধরেন। শেষে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার দিয়ে সবাইকে আপ্যায়িত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭
এসএস/এএসআর