ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

ইন্দোনেশিয়া থেকে জাহিদুর

ঢাকা-জাকার্তা অনন্য উচ্চতায়

জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৭
ঢাকা-জাকার্তা অনন্য উচ্চতায় ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আজমল কবীর। ছবি: জাহিদুর রহমান

জাকার্তা (ইন্দোনেশিয়া) থেকে: ঢাকা-জাকার্তা দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কে গতি ফিরছে। বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়া আমাদের অনেক পুরনো ও বিশ্বস্ত বন্ধু। দু'দেশের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌছেছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৬ মার্চ ইন্দোনেশিয়ায় ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) ২০তম  সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পর দু'দেশের সম্পর্কে যোগ হযেছে ভিন্ন মাত্রা। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতিকে  বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

আগামী ডিসেম্বরে সম্ভাব্য এই সফরের সূচি ধরেই আমরা কাজ করছি।

আমাদের প্রত্যাশা দুই নেতার এই পারস্পারিক সফরই খুলে দেবে সম্পর্কের আরো নতুন দিগন্ত। বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ নানা পর্যায়ে উন্মোচন করবে নতুন নতুন সম্ভাবনা।
বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এমনটিই জানান ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আজমল কবীর।

গত বছরের ১১ ডিসেম্বর জাকার্তা মিশনে ১৪তম রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দেন তিনি।

যদিও রীতি অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির কাছে চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি পরিচয়পত্র পেশের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব পালন শুরু করেন আজমল কবীর।

ইঞ্জিনিয়ার্স কোরের কর্মকর্তা আজমল কবীর সেনাবাহিনীতে কমিশন পান ১৯৮৩ সালের ১০ জুন। বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি থেকে গ্রাজুয়েশন করার পর বুয়েট থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি নেন তিনি।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি ইঞ্জিনিয়ার সেন্টার অ্যান্ড স্কুল অব মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং এবং স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিক্স-এর ইন্সট্রাক্টর হিসেবে কাজ করেন।

ছিলেন বঙ্গবন্ধু সেতুতে রিভারাইন ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়ন এবং ৯৮ কম্পোজিট ব্রিগেডের কমান্ডার। ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডের কমান্ডার হিসেবে সাভারে রানা প্লাজা ধসে ভারী সরঞ্জাম দিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় সুনাম অর্জন করেন তিনি।

এছাড়া তিনি গাজীপুরে বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির কম্যান্ড্যান্ট হিসেবেও কাজ করেন।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ছাড়াও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বসনিয়া-হারজেগোভিনা, পূর্ব তিমুর ও লাইবেরিয়ায়  কাজ করেন মেজর জেনারেল আজমল কবীর।

বাংলানিউজের সঙ্গে তার আলাপচারিতার চুম্বক অংশ এখানে তুলে ধরা হলো। দীর্ঘ আলাপচারিতায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসায় সাক্ষাতকারটি দুই পর্বে প্রকাশ করা হবে। এখানে পড়ুন প্রথম পর্ব।

বাংলানিউজ: ঢাকা-জাকার্তা সম্পর্ক অনেক পুরনো হলেও সম্পর্কটা তেমন গতিশীল নয়। যেমনটা দেখা যায় ইন্দোনেশিয়ার পড়শী মালয়েশিয়ার ক্ষেত্রে। সেটার কারণ কি?

আজমল কবীর: আসলে মালয়েশিয়ায় লাখ লাখ শ্রমিকের গন্তব্য বলে সেখানকার চিত্রটা ভিন্ন। সে ক্ষেত্রে কিন্তু এ দেশটি আমাদের অভিবাসী শ্রমিকদের গন্তব্য হয়ে ওঠেনি শ্রম বাজার অনুকূলে নয় বলে। এখান থেকেই উল্টো মানুষ কাজ করতে যায় অন্য দেশে। এ দেশে যারা আছেন, তারা হাতে গোনা প্রবাসী। তাদের সবাই কিন্তু পেশাজীবী।

বাংলানিউজ: দু'দেশের মন্ত্রী পর্যায়ে যৌথ কমিশনের বৈঠকের ফাইলগুলোতেও ধুলো পড়েছে। যা হয়েছিলো সর্বশেষ ২০০৭ সালে। একই ভাবে শীর্ষ পর্যায়ে দুই দেশের নেতাদের একান্ত সফর হয়নি বহুবছর। এগুলো কতোটা গতিশীল সম্পর্কের ইঙ্গিত বহন করে?

আজমল কবীর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বশেষ ইন্দোনেশিয়া সফর ইতিবাচক সম্পর্ককে আরো গতিশীল ও অগ্রসর করার বার্তা দিয়ে গেছে এখানে। এবার ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআর) সম্মেলনে প্রথম বারের মতো রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা যোগ দেয়ায় আমাদের প্রধানমন্ত্রীও যোগ দিয়েছেন। তার এ যোগদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের মর্যাদা অনেক বেড়েছে।

আমরা জাকার্তাকে বলেছিলাম, তিনবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে কখনোই ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দেশের বাইরে থাকেননি শেখ হাসিনা। বিষয়টি জাকার্তা গুরুত্ব দিয়ে অনুধাবন করেছে। এবার ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জকো উইদোদোর সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক থেকে সম্পর্কে গতিশীলতা এসেছে। প্রধানমন্ত্রী ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি সম্মতিও দিয়েছেন। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি রাষ্ট্রপতি জকো উইদোদো এখন খুবই ব্যস্ত। আগামী ডিসেম্বরে তার সম্ভাব্য সফরের সময় পাওয়া যেতে পারে। (চলবে)

বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৭
জেডএম/

** একটি নামের অপমৃত্যু
** বাংলার পুকুরেই সাগরের ভেটকি
** প্রবাসে ভবিষ্যত বাংলাদেশ
** ইন্দোনেশিয়ায় অনন্য বাংলাদেশকেই মেলে ধরছেন হুমায়রা 
** সন্ধ্যা হতেই বাতি নেভে শাহজালালের ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের
** এবার ইন্দোনেশিয়ার পথে বাংলানিউজের জাহিদ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।