গত শনিবার (২০ মে) সারি সিটি হলে অনুষ্ঠিত এ উৎসবে বাঙালির বসন্ত উদযাপন বহুজাতিকতার নতুন মাত্রা লাভ করেছে। দর্শকের হৃদয় জয় করে নেয়া এ অনুষ্ঠানে বাংলা নাচ-গানের সাথে ছিল ইংরেজি কবিতা, কর্ণাটিক সঙ্গীত এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ধারায় সেতারের মূর্ছনা।
নানা বর্ণ, জাতি ও পেশার দর্শকের সামনে সঙ্গীত পরিবেশন করেন গুণী শিল্পী পিনু সাত্তার। তার ভরাট গলার রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি, লালনের গান কিংবা কীর্তন দর্শকদের হৃদয় স্পর্শ করে। পিনুর সাথে তবলায় ছিলেন শুভময় দাসগুপ্ত।
মৃদঙ্গম, ঘতম এবং মোরসিং এর মতো নানা রকম বাদ্যযন্ত্রের সমন্বয়ে কর্ণাটিক সঙ্গীত পরিবেশন করেন লাক্সমী মেনন। সেতারের সুরে দর্শকদের মুগ্ধ করেন মোহামেদ আসানী। তাকে তবলায় সঙ্গত করেন অমরজিত সিং।
ইংরেজি কবিতা পাঠ করেন কানাডীয় কবি বার্নিস লিভার, কোরিয়ান কবি বং জা আহন এবং আমেরিকান কবি কারলা শেফার।
অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল সবার শেষে। বাংলার পল্লী প্রকৃতিতে বসন্তের আগমন এবং ঋতুর পরিবর্তন নিয়ে নজরুলগীতি পরিবেশন করেন শঙ্খনাদ মল্লিক, অভীক দে এবং কেকা সেনগুপ্ত।
শিল্পীদের গানের তালে তালে নৃত্য পরিবেশন করেন একঝাঁক নবীন-প্রবীণ শিল্পী, যার মধ্যে অবাঙালি আলেক্স পারাপ্পিল্লি দর্শকদের মাঝে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। যন্ত্রানুসঙ্গে ছিলেন সবুজ মজুমদার, তাপস বিশ্বাস এবং টম হান্টার। ছায়ানটের প্রাক্তন শিক্ষিকা অর্ণ কমলিকা এতে নেতৃত্ব দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৮ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭
এমজেএফ