ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রবাসে বাংলাদেশ

কাতারে পোষাপাখির হাটে মিলবে রং-বেরঙের পাখি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০১ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৭
কাতারে পোষাপাখির হাটে মিলবে রং-বেরঙের পাখি হাটে পোষাপাখি-ছবি-বাংলানিউজ

কাতার: কাতারের রাজধানীর দোহার অন্যতম দর্শনীয় ও পর্যটন স্থান প্রাচীন বাজার সুক ওয়াকিফ। এই বাজারে প্রতিদিন নানা দেশ থেকে পর্যটকরা ঘুরতে আসেন। এর অন্যতম আকর্ষণ পোষাপাখির বাজার। পাখির কিচিরমিচিরে সবসময় মুখরিত এই হাটে মিলবে পছন্দের নানা প্রজাতি ও রং-বেরঙের পাখি।

বছরজুড়েই নানা বয়সের দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর থাকে এই পাখির বাজার। আরবিতে এর নাম সুক আল হামাম।

এখানে বিক্রি হয় টিয়া কবুতরসহ দেশ-বিদেশের নানা প্রজাতির পোষাপাখি।

বিশেষ করে টিয়াপাখির কদর এখানে অনেক বেশি। ছোট বড় নানা আকারের বিভিন্ন রঙের বিদেশি পাখিগুলো ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে। আরও পাওয়া যায় বিদেশি কুকুর, বিড়াল, ইঁদুর, খরগোশসহ অন্য প্রজাতির প্রাণীও।

দীর্ঘদিন ধরে এই বাজারে ব্যবসা করছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। আরব ও ইউরোপের নানা দেশ থেকে তারা পাখি কিনে এনে বিক্রি করেন। এই বাজারে আছে সর্বনিম্ন ১০০ রিয়াল থেকে শুরু করে কয়েক হাজার রিয়াল মূল্যের পাখি।

সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিনই শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সের ক্রেতারা আসেন এই বাজারে। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না এখানে। শীত মৌসুমে কেনাবেচা বেশি হয় বলে গরমকালে ক্রেতার সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমে যায় বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

কেবল পশু-পাখি নয়, বরং এখানে পাওয়া যায় রঙিন মাছ, অ্যাকুরিয়াম, পশু-পাখির খাঁচা, খাবারদাবার, ওষুধপত্রসহ নানা সামগ্রী। ফলে নতুন পোষাপ্রাণী কিনতে যেমন অনেকে এখানে আসেন, তেমনিভাবে ঘরে থাকা পশু-পাখির জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও কিনতে আসেন স্থানীয় নাগরিক, অভিবাসী ও পর্যটকরা।

যুগ যুগ ধরে পশুপাখি শৌখিন মানুষের পরিবারের সদস্যদের মতোই আদর পেয়ে আসছে। মানুষের শখ ও চাহিদা পূরণে তাই এ বাজার অন্যতম ভূমিকা পালন করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১০২ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৭
আরআর
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।