এ উপলক্ষে বুধবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় দূতাবাস হলরুমে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
ওমানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম সারওয়ার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব মোহাম্মদ আনোয়ারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সমিতি ওমানের সভাপতি ও প্রবাসী সিআইপি ইয়াছিন চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ওমান শাখার সভাপতি আহমেদুর রহমান, উপদেষ্টা মো. নোমান ও কিবরিয়া কামাল, ওমান বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ও সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, বাংলাদেশ স্যোশাল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এমএন আমিন ও স্থপতি মেহেদী ইফতেখার।
উপস্থিত ছিলেন দূতালয় প্রধান আবুল হাসান মৃধা, প্রথম সচিব আবু সাইদ এবং শ্রম কাউন্সিলার সুজাউল হক।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
বাণী পাঠের পর বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথ পরিক্রমায় বিভিন্ন রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর বিচক্ষণ ও অসাধারণ নেতৃত্বের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
তারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের বর্বর হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত গোলাম সারওয়ার বলেন, সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যারা ভেবেছিল মানচিত্র থেকে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর নাম-নিশানা মুছে দেবে, তারা আজ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত। আর আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বেঁচে আছেন প্রতিটি দেশপ্রেমিক বাঙালির হৃদয়ের মণিকোঠায়। তাকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তার আদর্শ জীবন্তই রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেখিয়ে দেওয়া পথেই হাঁটছে আজকের বাংলাদেশ এবং যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতিটি বাঙালির জন্যই এটি এক পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার যে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ এখন সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম সমিতি ওমানের সভাপতি ও প্রবাসী সিআইপি ইয়াছিন চৌধুরী বলেন, শোককে শক্তিতে পরিণত করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। দেশে-বিদেশে যতই ষড়যন্ত্র হোক না কেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কারণ এ দেশের মানুষের ভেতর বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার চেতনা রয়েছে।
ওমান আওয়ামী লীগ সভাপতি আহমদুর রহমান বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও পঁচাত্তরের ঘাতকদের উত্তরসূরিরা এখনো বাংলাদেশে আছে। যার কারণে এখনো আমরা জঙ্গিবাদ দেখি, ভালো আন্দোলনকে বিপথগামী করার অপচেষ্টা দেখি। এ সব ষড়যন্ত্রকারীর ব্যাপারে প্রবাসীদেরও সচেতন থাকতে হবে।
অনুষ্ঠান শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যসহ ২২ জনের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৮
এমআর/টিসি